শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে বঙ্গবন্ধুর বাবার নামে অসঙ্গতি 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে বঙ্গবন্ধুর বাবার নামে অসঙ্গতি 

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে মিলেছে একাধিক ভুল ও অসঙ্গতি। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবার নামে রয়েছে অসঙ্গতি। জাতির পিতার বাবার নাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শেখ। এছাড়াও এই দুই পাঠ্যবইয়ে মিলেছে একাধিক অসঙ্গতি। 

বই নিয়ে সমালোচনা কাটছেই না। প্রথমত, শতভাগ বই পায়নি শিক্ষার্থীরা। এরপর একের পর এক ভুল সামনে উঠে আসছে। আবার সামনে এসেছে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ। ইতোমধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ৯টি বিষয়ে সংশোধনী দিয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পাঠ্যবইয়ের ভুল ও চৌর্যবৃত্তির বিষয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে এনসিটিবি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বিষয়টি নিয়ে চ্যানেল ২৪-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ছেলেবেলার মুজিব শিরোনামে সপ্তম পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর বাবা লুৎফর রহমান ছিলেন সরকারি অফিসের কেরানি। অথচ তিনি ছিলেন আদালতের সেরেস্তাদার। একই পৃষ্ঠার দুই জায়গায় কেরানি শব্দটা লেখা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর বাবার নামের সঙ্গে ‘শেখ’ শব্দ যুক্ত করা হয়নি।   

ওই বইয়ের ৭১ পৃষ্ঠায় ‘ভাষা আন্দোলন‘ শিরোনামে আন্দোলনের বর্ণনায় কোথাও বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরা হয়নি। একই বইয়ের তিন জায়গায় কোথাও বাঙালি, হ্রস্ব ইকার দিয়ে, কোথাও বাঙালী দীর্ঘ ঈ কার দিয়ে, আবার কোথাও লেখা হয়েছে, বাঙ্গালি। 

৭৭ পৃষ্ঠায় ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রথম সরকার’ শিরোনামে লেখা হয়েছে, কর্নেল ওসমানিকে জেনারেল পদ দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি কর্নেল পদে থেকেই মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়ক। আর দেশ হানাদারমুক্ত হবার পর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। 


বিজ্ঞাপন


সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৭০ পৃষ্ঠায় ‘রাজনৈতিক সংযোগ’ শিরোনামে লেখা হয়েছে, তোমরা তো জানো ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে গ্রেফতার বরণ করার আগে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাধীনতার সংগ্রাম যেন এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার বরণ করেছেন, অর্থাৎ স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হয়েছেন। এই শব্দটি প্রথম জাতীয় সংসদে বলেছিলেন খালেদা জিয়া।

প্রবীণ শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, পাল্টাতে হবে পুরো এনসিটিবি। না হলে এমন ভুল হতেই থাকবে।

পিএস/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর