রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঈদের আগেই উৎসব ভাতার দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ঈদের আগেই উৎসব ভাতার দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের একটি মুহূর্ত | ছবি: ঢাকা মেইল

ঈদের আগেই সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। সেই সঙ্গে সমিতির পক্ষ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক/কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান।

অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া বলেন, একই কারিকুলামের অধীন সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচী, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ২৩ মার্চ সারাদেশের জেলা সদরে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ছাড়াও বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

শিক্ষক সমিতির দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আসছে ঈদুল ফিতরের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পৃথক বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া, পূর্ণাঙ্গ পেনশন প্রথা চালুকরণসহ তা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদান এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত চার শতাংশ কর্তন বন্ধ করা।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম গ্রেডে দেওয়া, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি প্রথা চালু, শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করা, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষকদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সেই সঙ্গে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ, শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সব বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রুত বাস্তবায়নেরও দাবিও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: দুই বছর পর চেনা রূপে শিক্ষাঙ্গন

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট সদস্য রঞ্জিত কুমার সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার ও বেগম নূরুন্নাহারসহ শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর