শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, ঢাকা

নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতিক ইবির টিএসসিসি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতিক ইবির টিএসসিসি

নান্দনিক ডিজাইন আর নজরকাড়া রঙের বিশাল ভবন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন। বিস্তীর্ণ সবুজ ফুটবল মাঠের প্রান্ত থেকে তাকালে মনে হতে পারে এ যেন মুঘল সাম্রাজ্যের কোনো এর রাজবাড়ির অংশ। সামনেই একপায়ে দাঁড়িয়ে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে লাল সবুজের কৃষ্ণচূড়া গাছ। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি) নামেও পরিচিত।

মিলনায়তনটি ঝিনাইদহ জেলার ব্যক্তিত্ব বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি ২০০০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন হিসাবে নির্মাণ করা হয়েছিলো, তখন এই মিলনায়তনের নাম ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) অর্থায়নে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে ও ২০১২ সালে নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নামে আসা হয়।


বিজ্ঞাপন


মিলনায়তনের বুকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারণা থাকে সার্বক্ষণিক। বিকেল হলেই সিঁড়িতে জমে আড্ডা। হয় বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তিতর্ক-আলাপ, সমাজ সাহিত্য রাজনীতির কথা। সন্ধ্যা হলেই বাতাসে ভাসতে থাকে গিটারের সুর। নিত্যদিনের মত চলে গল্প-কবিতার আসর। রাতের বেলা সিঁড়িতে বসলে মৃদু বাতাসের ছোঁয়া হৃদয়ে প্রশান্তি বয়ে আনে। চলে চায়ের কাপের আড্ডা, ডিম খিচুরির নাস্তা, গানে গানে জমে উঠা ক্যাফে, প্রশস্ত সিঁড়ির দুপাশে বন্ধুদের খুঁনসুটি।

ক্যাম্পাসে যত ধরনের আয়োজন তার সিংহভাগ এই মিলনায়তন ঘিরেই হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সেমিনার, কর্মশালা, সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম এই টিএসসিসিতেই হয়ে থাকে। এখানে রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সুসজ্জিত বিশাল অডিটোরিয়াম; যেখানে একসাথে বসে প্রায় দেড় হাজার দর্শক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন। রয়েছে এস্টেট অফিস, প্রেস কর্ণার, ডিবেটিং সোসাইটি, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের অফিস।

কিন্তু বর্তমানে অপরিকল্পিত বৃক্ষরোপন চারদিক থেকে নান্দনিক এই ভবনটির আসল রূপ ঢেকে ফেলেছে। টিএসসিসির ছবি তুলতে গেলে একগুচ্ছ গাছের ছবি উঠে যায়। অপরিকল্পিত বৃক্ষরোপন এই ভবনের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা সুলতানা বলেন, টিএসসিসি হলো ক্যাম্পাসের প্রাণ যেখানে সকল শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা বসে। যেখানে চলে নিয়মিত আড্ডা গান সহ নানা খুঁনসুটি। বিশেষ করে কৃষ্ণচূড়া ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য টিএসসিসিকে ভালবাসতে বাধ্য করে।


বিজ্ঞাপন


ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, টিএসসিসির কাছে আসলেই প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। যেখানে রয়েছে হাজারো রকমের স্মৃতি। অতিত আজ স্মৃতিতে বন্দি।

টিএসসিসির উপ-রেজিস্ট্রার সুদেব কুমার বিশ্বাস বলেন, ১৭৫ একরের যত ধরনের আয়োজন সব টিএসসিসিকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। যেটি সাবেক-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মিলনস্থল। এটির সৌন্দর্য বর্ধণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর