বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সরকারি স্কুলে ৫৯ শতাংশই কোটা, ব্যাপক সমালোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

সরকারি স্কুলে ৫৯ শতাংশই কোটা, ব্যাপক সমালোচনা

সরকারি স্কুলে ৫৯ শতাংশ আসন কোটায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি সুযোগ পাবেন মাত্র ৪১ শতাংশ আসনে। আগের বছরগুলোতে কোটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এসব সমালোচনাকে কর্ণপাত না করে চলতি বছরে আরও দুই শতাংশ কোটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সরকারি স্কুল ভর্তিতে নীতিমালা জারি করে প্রজ্ঞাপন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে দেখা যায়, কেচমেন্ট এরিয়া, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড, এনটিআরসিএ, মাউশি ও অধীনস্থ দফতর ও সংস্থায় কর্মরর্তাদের সন্তানদের জন্য ৫৯ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অভিভাবকরা।


বিজ্ঞাপন


প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী— এবার প্রথমবারের মতো ২ শতাংশ সিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষার দফতর-সংস্থার কর্মীদের সন্তানদের জন্য।

এতে আরও দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার কিংবা তাদের ছেলে বা মেয়ের পরিবারের সন্তানরা পাবে ৫ শতাংশ, কেচমেন্ট এরিয়ায় বসবাসরত শিক্ষার্থীরা ৪০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থী ২ শতাংশ কোটা। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। সব মিলিয়ে মোট আসনের শতকরা হিসেবে ৫৯ শতাংশ আসন বিভিন্ন কোটায় সংরক্ষিত থাকছে। বাকি ৪১ শতাংশ আসনের বিপরীতেই কেবল সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতা করতে পারবে।

জোবায়দুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, আমরা ঢাকায় ভাড়া থাকি। এখন আমার মেয়ের জন্য যেসব স্কুলে আবেদন করেছি সেগুলো কোনো কোটার মধ্যে পড়ে না। এখন মহানগর কেন্দ্রিক ভর্তিতে যদি এরিয়া কোটা দেওয়া হয় তবে অন্য এলাকা থেকে আসাদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়ে যায়। আমি চাই কোটা ৫ থেকে ১০ শতাংশ রেখে বাকিটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হোক।

জানতে চাইলে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সদস্য মিলন খন্দকার বলেন, কোটা নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিনের। তবে আমি বলব কোটা থাকবে, তবে এই সংখ্যাটা কোনোভাবেই ২০ শতাংশের অধিক হওয়া উচিত নয়। অনেকেই চান সন্তানকে সরকারি স্কুলে পড়াতে। স্কুলে সুযোগ পাওয়ার পর অনেকেই ভবিষ্যতে সেই এলাকার বাসিন্দা হবেন। এরিয়া কোটাসহ অন্যান্য কোটা কমিয়ে আনা উচিত।


বিজ্ঞাপন


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, কোটার সংখ্যাটা অধিক হলেও যেহেতু এলাকাভিত্তিক কোটা থাকছে সেহেতু সাধারণ শিক্ষার্থীরাই সুযোগ পাবেন।

সরকারি স্কুলে ভর্তি লটারি আগামী ১২ ডিসেম্বর ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি ১৩ ডিসেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ভর্তির লটারির আয়োজন করা হবে। দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো থেকে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন বেশি পড়েছে প্রায় আড়াইগুণ। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনে ভর্তি হতে লড়বে ৫ দশমিক ৮ জন শিক্ষার্থী। আর বেসরকারিতে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি। ফলে বেসরকারি আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭টি।

পিএস/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর