মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি ফের মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০২:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি ফের মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা
ছবি: ঢাকা মেইল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ফের মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।


বিজ্ঞাপন


তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ১. প্রক্সি জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে ২. ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে হবে ৩. পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে।

মাববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যাচ্ছে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হচ্ছে। তারাই আবার পরবর্তীতে শিক্ষক হচ্ছে। শিক্ষকদের যদি চক্ষু লজ্জা থাকে তাহলে তাদের এখান থেকে বের করে দেবেন। ভর্তি জালিয়াতি করে যে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম তদন্ত করছে না। তাহলে শিক্ষার্থীরা কি ধরে নিবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত আছে? রাবি ক্যাম্পাস পোষ্য কোটায় নামে যে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার কাঠামোগত পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই, তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিলসহ পোষ্য কোটা বাতিল করা হোক। আমরা অসাংবিধানিক পোষ্যকোটা বাতিল চাই।’

এসময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের এত শিক্ষক তাদের কি বিবেক কাজ করে না। তারা কেন অযোগ্যদের ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। তাদের মূল্যবোধ কাজ করে না। শিক্ষকদের অযোগ্য ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। পাস মার্ক ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হয়েছে কোন যৌক্তিতে তা আমাদের জানা প্রয়োজন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কি তাহলে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে হবে? পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এ কোটা সিস্টেম তাহলে কি আমরা ভেবে নিবো আমাদের শিক্ষকরাও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী?’

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, ‘পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবছর দাঁড়াই কিন্তু এই শিক্ষকদের লজ্জা নাই। তারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ নষ্ট করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কোনো পোষ্য কোটার নিয়ম নেই। তারা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। আজকে যে ক্ষমতার বলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে একই ক্ষমতা বলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী হবেন।’


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিনদিন সংকীর্ণের দিকে হাটছে। আগের উপাচার্য ৪১ শিক্ষার্থীকে পোষ্য কোটায় ভর্তি করালেও বর্তমান উপাচার্য তা বৃদ্ধি করে ৭১ জনে রূপান্তর করেছেন। আমরা পোষ্য কোটা বাতিল চাই এবং ফেল করা ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল চাই’।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরি করছে বর্তমান প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের ট্যাক্সে চলে কারো পৈতৃক সম্পত্তি না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৬০ মার্ক পেয়েও চান্স পাচ্ছে না কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অযোগ্য ছেলে মেয়েরা যারা ফেল করেও পৈতৃক কোটা নামে পোষ্য কোটায় ভালো সাবজেক্টে চান্স পেয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারী হচ্ছেন। আমরা পোষ্য কোটা নামে এমন প্রহসন আর চাই না। আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর