শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বহুমাত্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নয়নই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়ন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

বহুমাত্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নয়নই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়ন

বহুমাত্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়ন নয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদানের উন্নয়ন, গবেষণার উন্নয়ন এবং বহুমাত্রিক জ্ঞান বিজ্ঞানের ও সংস্কৃতির উন্নয়নই হলো প্রকৃত উন্নয়ন।'

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


হাছান মাহমুদ বলেন, 'দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন সব জায়গাতেই দেখতে পাই সবাই অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেই বেশি ফোকাস করছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এই অবকাঠামোগত উন্নয়নই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়ন নয়৷'

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রবন্ধ উপস্থাপন, স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠান পালিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হাসান মাহমুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মুনতাসির মামুন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে সেটি আর বিশ্ববিদ্যালয়ই থাকে না। এটি বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন। তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসন দেন। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর সে স্বায়ত্ত্বশাসন রক্ষা করতে পারিনি।’


বিজ্ঞাপন


স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। আজ থেকে ৪১ বছর আগে ১৯৮১ সালে আমি এই বিশ্বাবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। সবুজ ক্যাম্পাসের এ বিশ্ববিদ্যালয় আমার হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে আছে। আমার কাছে এই ক্যাম্পাস বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ক্যাম্পাস। এখানে এলে আমি পুরনো স্মৃতিতে আবেগাপ্লুত হয়ে যাই।’

১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর দুই শ শিক্ষার্থী ও চারটি বিভাগ নিয়ে প্রায় একুশ শ একরের আয়তনে যাত্রা শুরু করে পাহাড় ও অরণ্যে ঘেরা নৈসর্গিক ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে দশটি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ, ছয়টি ইন্সটিটিউশন, পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্রসহ প্রায় বারো হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, এক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় সাতাশ হাজার শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে আজ ৫৭ বছরে পা দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিনিধি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর