বান্ধবীকে গাঁজা সেবনের খবর জানানোকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জেরে হলের দরজা-জানালা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
বুধবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় নোবিপ্রবির ত্রিধর্মী উপাসনালয়ের সামনে মারামারির সূত্রপাত হয়।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের গণরুমে (১০৪ নম্বর কক্ষ) গাঁজা সেবন করে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ সাহা। গাঁজা সেবনের খবর তার বান্ধবী জানতে পারায় ক্ষিপ্ত হয় সৌরভ।
বান্ধবীকে এ তথ্য জানানোর ঘটনায় সন্দেহ করে সৌরভ একই বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী স্বাধীন আহমেদকে ক্যাম্পাসের গাছ থেকে ডাব খাওয়ার কথা বলে হল থেকে ত্রিধর্মী উপাসনালয়ের নিকট নিয়ে যায়। এসময় সৌরভ স্বাধীনকে ত্রিধর্মী উপাসনালয়ের সামনে মারধর করে।
জানা যায়, স্বাধীনকে মারধরের জন্য আদনান আলী, শাকিল মোস্তফা, মোমিন সরকার, মুয়াজ ইবনে আকবর রূপম ও আরমানসহ কয়েকজন আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষা করে। ঘটনাস্থলে স্বাধীনকে চিনতে পেরে কয়েকজন সিনিয়র এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হয় তারা।
ঘটনা জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম পরিস্থিতি শান্ত করে এবং সবাইকে হলে চলে যেতে বলে। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলে হলের রুমে গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে স্বাধীনকে ফের মারধর করে তারা। এসময় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী প্রলেক্স বড়ুয়া ও আহত হয়।
বিজ্ঞাপন
এসময় উভয় পক্ষ ধাওয়া,পাল্টা-ধাওয়ায় জড়ায় এবং ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলে ভাঙচুর চালায়। আহত অবস্থায় প্রলেক্স বড়ুয়া ও স্বাধীনকে উদ্ধার করে রাত সোয়া ১টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায় তাদের সহপাঠীরা।
এ বিষয়ে জানতে সৌরভ ও স্বাধীনের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
হলে ভাঙচুরের বিষয়ে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট আনিসুজ্জামান রিমন বলেন, ‘ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে কিছু ঝামেলা হয়েছে। আমরা জানা মাত্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হলে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আজ দুপুরের পর এ বিষয়ে বসবো। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
টিবি

