ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রেীয় মসজিদের নির্মাণ কাজ উদ্ধোধনের প্রায় আড়াই যুগেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। কাজ শুরুর ২৮ বছরে তিন ধাপে মোট ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। টাকার অভাবে এক বৎসর থেকে বন্ধ হয়ে আছে তৃতীয় ধাপে শুরু হওয়া নির্মাণ কাজ। বাকি কাজ সম্পন্ন হতে এখনো প্রায় ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস।
নির্মাণকাজ শেষ হলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সর্ববৃহৎ মসজিদ হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রেীয় মসজিদ। কিন্তু টাকার অভাবে প্রায় এক বছর থেকে কাজ বন্ধ হয়ে আছে বাংলাদেশের অন্যতম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ববৃহৎ স্থাপনার। কাজ শুরুর ২৮ বছরে তিন দফায় মোট ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে মসজিদটির।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ১৯৯৪ সালে সরকারি অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমদিকে দুই দশমিক ২৫ হেক্টর জায়গা জুড়ে ইবি কেন্দ্রীয় মসজিদের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। কাজ শুরুর পর বিদেশ থেকেও সহায়তা আসে। তবে মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ভিন্ন খাতে ব্যয় করায় ও সঠিকভাবে কাজে না লাগানোয় অর্থ ফেরত নেয় বিদেশি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে ১০ বছর পর ২০০৪ সালে ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হলে তৎকালীন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মোশারফ হোসাইন শাহজাহান উদ্বোধনের মাধ্যমে নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেন মসজিদটি। এরপর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২০১৮ সালে তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারীর সময় ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে দুই দফায় নির্মাণ কাজ সম্প্রসারণ করা হয়। এরপর বর্তমান ভিসির সময়ে আবার কাজ বন্ধে হয়ে যায়।
নিমার্ণকাজ শেষ হলে মসজিদটিতে একসঙ্গে ১৭ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। চারতলার মূল মসজিদে মোট সাত হাজার এবং মসজিদের সামনের পেডমেন্টে নামাজ পড়তে পারবে আরও ১০ হাজার মুসল্লি। নকশা অনুযায়ী মসজিদের প্রাচীরের চারপাশে ১৫০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চারটি মিনার স্থাপিত হবে। মসজিদের তিনপাশ দিয়ে থাকবে প্রবেশ পথ। প্রতিটি প্রবেশপথে থাকবে একটি করে গম্বুজ। এছাড়া প্রতিটি অনুষদীয় ভবন থেকে মসজিদে আসার জন্য থাকবে প্রশস্ত পথ। মসজিদের নিচতলায় একটি লাইব্রেরি ও রিসার্স সেন্টারের প্রস্তাবনাও রয়েছে।
শিক্ষাজীবন শেষ করা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে মসজিদকে এখনও নির্মাণাধীন দেখার পর তাদের কণ্ঠে আক্ষেপ ঝরে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হানিফ রহমান বলেন, মসজিদটি সারাজীবন নির্মাণাধীনই রয়ে গেল। কোনো প্রশাসনই নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে পারলোনা। এ বিষটি খুবই দুঃখকজনক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, মসজিদের কাজ শেষ হতে এখনো প্রায় ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। বাজেটের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এখনো প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি কাজ বাকি। আমরা খুব শীঘ্রই মসজিদের বাজেটের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করবো। বাজেট পেলে আগামি তিন বছরের মধ্যে অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা করছি।
বিজ্ঞাপন
এজে

