শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড দখলমুক্ত চায় সচেতন নাগরিক সমাজ

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড দখলমুক্ত চায় সচেতন নাগরিক সমাজ

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড দখলমুক্ত চায় সচেতন নাগরিক সমাজ। তারা বলেছেন, আগে শুনেছি গুণ্ডারা চর দখল করত। একজনের জমি আরেকজন দখল করত। কিন্তু এখন দেখছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাও বিশ্ববিদ্যালয় দখল হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মানারাত ইউনিভার্সিটি দখল করা হয়েছে। অবিলম্বে মানারাত ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড দখলমুক্ত না করলে জনগণ রাস্তায় নামবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজ আয়োজিত অবৈধভাবে মানারাত ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড দখলের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। 


বিজ্ঞাপন


মানববন্ধন কর্মসূচিতে অধ্যাপক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘আজকের এ মানববন্ধন দেশের শিক্ষা বাঁচানোর আন্দোলন। মানারাতের অপরাধ মানারাত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ চায়। তারা চোর উৎপাদন না করে দেশপ্রেমিক সমাজ চায়। আজ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।’ 

দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি আজকের বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আজ মানারাত নিয়ে আরেকটি অন্যায় আমাদের সামনে এসেছে। অন্যায়কে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে হবে। মানারাত দখলকারীদের বলব এমন দিন আসবে যেদিন আপনারা ডুবে যাবেন।’

মানারাত ইউনিভার্সিটির ছাত্র উপদেষ্টা শেখ আল আমিন বলেছেন, ‘মানারাতের উদ্যোক্তারা রক্ত পানি করে প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন সত্যিকার মানুষ তৈরির জন্য। আজ সেই বিশ্ববিদ্যালয় দখল করা হচ্ছে। এটি লজ্জাজনক। বিশ্বে এমন ইতিহাস নেই।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের ক্ষমতা থাকলে আরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে জনগণকে দেখিয়ে দেন। জনগণ এখনো রাস্তায় নামেনি। জনতার বিক্ষোভ ও রাস্তার নামার আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের কাছে দায়িত্ব ফিরিয়ে দিয়ে চলে যান। আমরা চর দখলের মতো বিশ্ববিদ্যালয় দখল যেন না হয় বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে দেখার অনুরোধ করছি।’


বিজ্ঞাপন


ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানুষ গড়া হয় সেখানে আজ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সব সেক্টর খাওয়ার পর এখন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো ধ্বংসে হাত দিয়েছেন। ৪ হাজার শিক্ষক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকিতে ফেলে দিয়ে আপনারা শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন না। নতুন ট্রাস্টি বোর্ড বাতিল করুন। এসব প্রতিষ্ঠান মানুষের রক্তে গড়া। সরকারি টাকায় নয়৷’

ডা. মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি গোলাম রহমান, অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক, পরিবেশবিদ অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, নুরুল আমিন রোকন প্রমুখ।

-বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর