মাস্টার্সের ভর্তির সময় বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষের ফলাফল ও অকৃতকার্য কোর্সে স্পেশাল শর্ট পরীক্ষাগুলো সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই মাস্টার্সের সার্কুলার প্রকাশ করা হয়। ফলে ফর্ম পূরণের সময়সীমার মধ্যে কিছু অনুষদ এবং বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারেনি। সমস্যা নিরসনে তারা তাদের স্ব স্ব বিভাগীয় ও অনুষদের শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন এবং সর্বশেষ ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সাথেও কথা বলেছেন। কিন্তু শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কথায় আশ্বস্ত না হওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
অবস্থানরতদের একজন ইংরেজি বিভাগের ১৭ ব্যাচের আব্দুল করিম। তিনি বলেন, আমাদের রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার আগেই মাস্টার্সের ফর্ম উঠানোর সময়সীমা শেষ হওয়ার কারণে বিড়ম্বনায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী । অনেক শিক্ষার্থী যারা শর্ট পরীক্ষা দিচ্ছে তারা মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারছে না। তাই আমাদের দাবি অন্তত ১ মাস সময় দিয়ে আমাদের মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিক।
একই ব্যাচের কৃষি অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী মুশফিক বলেন, ‘মাস্টার্সের উইন্টার সেশনের যখন সার্কুলার দেওয়া হয় তখন বেশ কয়েকটি অনুষদের অনার্স শেষ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষাই শেষ হওয়া বাকি থাকে যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী এই সেশনের মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। যদি দায়িত্বরত শিক্ষকদের অবহেলার কারণে জুন-জুলাই মাসে শুরু হতে যাওয়া সেশন দুই মাস পিছিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হতে পারে তাহলে কেন শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ আরও কিছু দিন পিছানো যাবে না?’
এ বিষয়ে পোস্টগ্রাজুয়েট অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, ‘আমি সেপ্টেম্বর মাসের এক তারিখে নতুন দায়িত্ব হিসেবে পোস্ট গ্রাজুয়েট অনুষদের ডীন হিসেবে যোগদান করেছি। মাস্টার্সে ভর্তির এই সময়সূচি আমার যোগদান করার আগেই গঠন করা হয়েছে। আমি যতটুকু জানি, আগষ্ট মাসের ২৫ তারিখ আবেদন করার শেষ তারিখ ছিল এবং ৮ সেপ্টেম্বর ভর্তি হওয়ার শেষ তারিখ ছিল। এর মধ্যে প্রায় সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। তবে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের ইংরেজি এবং অর্থনীতি বিভাগ এবং এগ্রিকালচার অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়টি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও ইংরেজি এবং অর্থনীতি বিভাগের কিছু শিক্ষার্থীর বিভিন্ন পরীক্ষায় অকৃতকার্য থাকায় তারা পরবরর্তীতে পুনরায় পরীক্ষা দেয়া এবং ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে পারেনি। অন্যদিকে, এগ্রিকালচার অনুষদের শিক্ষার্থীদের অনার্সের পরীক্ষা শেষ হলেও তারা রেজাল্ট পায়নি। যার কারণে তারাও আবেদন করতে পারেনি।'
বিজ্ঞাপন
সময় বৃদ্ধি করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স কোর্স বছরে দুইবার চালু থাকে এবং আমাদের এটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হয়। বর্তমানে মাস্টার্স কোর্সের ক্লাস ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। তাই মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির সময়সীমা বৃদ্ধি করা আপাতত আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে আমরা বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছি। এখন সময় বৃদ্ধি করা সম্ভব নয় বলেই আমার কাছে মনে হয়।’
প্রতিনিধি/ একেবি
