শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

খুকৃবিতে সব অবৈধ নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

খুকৃবিতে সব অবৈধ নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) উপাচার্য শহীদুর রহমান খানের পরিবারসহ সব অবৈধ নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপাচার্যকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


চিঠিতে বলা হয়, তদন্ত কমিটির নিকট উপাচার্য নিজেই স্বীকার করায় তাঁর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় নয়জনের নিয়োগ বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে ‘বিষয় বিশেষজ্ঞ’ ছাড়া একই ব্যক্তিদের দিয়ে বাছাই বোর্ড গঠন করে ২০টি বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের স্ত্রী অধ্যাপক পদে আবেদন করেছেন সেটিও বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি চিঠিতে ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ এবং বিষয় বিশেষজ্ঞ ছাড়া বাছাই বোর্ড গঠন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগে অনিয়মের নানা চিত্র উঠে আসে। ওই তদন্তের আলোকেই এই অবৈধ নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাবিতে মাদক সেবনের অভিযোগে চার বহিরাগত আটক


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জাতীয় সংসদে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উপাচার্য হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক শহীদুর রহমান খানকে নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। তবে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর উপাচার্য নিজের ছেলে শফিউর রহমান খান ও শ্যালক জসীম উদ্দীনকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শাখা কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন। পরে উপাচার্যের চার ভাতিজাও নিয়োগ পান একই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরমধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে মুরাদ বিল্লাহ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে সুলতান মাহমুদ, ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে ইমরান হোসেন ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এছাড়াও উপাচার্যের শ্যালিকার ছেলে সায়ফুল্লাহ হককে নিয়োগ দেওয়া হয় সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) হিসেবে। পাশাপাশি ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগ পাওয়া নিজামউদ্দিন উপাচার্যের আত্মীয়। এছাড়া উপাচার্যের মেয়ে ইসরাত খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যে প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটিও ত্রুটিযুক্ত বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউজিসির তদন্তে আরও উঠে এসেছে, উপাচার্য নিজের স্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সরাসরি অধ্যাপক পদে নিয়োগের চেষ্টা করেছিলেন। তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক পদে আবেদন করেন তিনি। তবে এ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এসএএস/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর