বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জাবির ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে’ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩৭ এএম

শেয়ার করুন:

জাবির ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে’ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ
ছবি : ঢাকা মেইল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাহিদ হকের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ওই হলের ছাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হলের সামনে বিক্ষোভ চলে।


বিজ্ঞাপন


এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো—নতুন ক্যান্টিন চালু করা, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বাড়ানো, হল সংস্কারের নামে দীর্ঘসূত্রিতার দ্রুত অবসান ও সংস্কার কাজে যথাযথ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা, নতুন নতুন নিয়মের নামে ছাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করা, হলগুলো পুরোপুরি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা ও রিডিং রুম নির্মাণ করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, ক্যান্টিনের নিম্নমানের খাবারের বিষয়ে বেশ কয়েকবার হল সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা আগ্রহ প্রকাশ করেননি। 

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কোনো সমস্যা সমাধানে প্রভোস্টকে বার বার কল দিলে তিনি রিসিভ করেন না উল্টো ব্লক করে রাখেন শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর।

এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, প্রভোস্ট হলে ফিস্টের প্রোগ্রাম ছাড়া কখনও আসেন না। তিনি পুরুষ না নারী সেটাও তারা জানেন না। প্রভোস্টের কাছ থেকে একটি সিগনেচার নিতেও সপ্তাহের মতো সময় লাগে।


বিজ্ঞাপন


আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গত পাঁচ বছরে প্রভোস্টকে কখনও শিক্ষার্থীদের পাশে দেখিনি। তাকে কোনো সমস্যার কথা জানালেই বলেন লিখিত অভিযোগ দিতে কিন্তু পরে আর কোনো সমাধান হয় না।

জানা যায়, ঈদুল আযহার বন্ধের পর নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে কালু মিয়া নামে এক ব্যক্তি হল প্রশাসনের নিয়োগের ভিত্তিতে নতুন ক্যান্টিন চালু করেন। প্রথম দিকে ক্যান্টিনে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় শিক্ষার্থীরা সাধারণ সভায় খাবারের দাম কমানোর প্রস্তাব দেয়। পরে খাবারের দাম কমানো হলে ক্যান্টিন মালিক ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা শুরু করেন।

এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের আবাসিক ছাত্রী সুলতানা আফরিন টুম্পা বলেন, এর আগে দুই হল থেকে বিতারিত ‘কালুর ক্যান্টিন’কে আমাদের হলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ক্যান্টিন এতোটাই অপরিষ্কার থাকে যে, বসে খাওয়ার মতো পরিবেশ নেই। ক্যান্টিনের বিষয়ে বেশ কয়েকবার শিক্ষকদের সাথে সরাসরি কথা বলা হলেও কোনো লাভ হয়নি। আমদের কোনো সমস্যাতেই কখনো প্রভোস্ট সামনে আসেনি। তাকে কখনো আমাদের প্রয়োজনে হলে পাওয়া যায় না।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সম্পর্কে হলের ওয়ার্ডেন ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দাবিগুলো সম্পর্কে আমরা কিছুদিন আগে অবগত হয়েছি। শুধুমাত্র তিন মাসের জন্য হলের নতুন ক্যান্টিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর ক্যান্টিন কর্মচারীর খারাপ আচরণের কথা আজই জানানো হয়েছে। 

প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণ হবে এমন সিদ্ধান্তই আমরা নিবো। আশাকরি শিক্ষার্থীরাও তাদের ভালোটাই বুঝবে।' 
এসময় শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট কমিটির সভাপতির আশ্বাসে হলে ফিরে যায়।

এ বিষয়ে জানতে নওয়াব ফয়জুন্নেসার প্রভোস্ট অধ্যাপক নাহিদ হককে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর