বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রাবির প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত মূলহোতা তন্ময়কে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩২ এএম

শেয়ার করুন:

রাবির প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত মূলহোতা তন্ময়কে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
ছবি : ঢাকা মেইল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রক্সিকাণ্ডের মূলহোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তন্ময়কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হলো।

মুশফিক তাহমিদ তন্ময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং রাবি শাখা ছাত্ররীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হলে থাকেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য, সিট বাণিজ্যসহ রাবি ও রুয়েট ক্যাম্পাসে ইয়াবা ও মাদক পাচারের সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

গত ২৬ জুলাই রাবির ভর্তি পরীক্ষায় 'এ' ইউনিটে প্রক্সি দিতে এসে গ্রেফতার হন রাবির ফোকলোর বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও তন্ময়ের বন্ধু বায়েজিদ খান। পরে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান, তন্ময় তাকে ভাড়া করে এনেছেন তানভীর আহমেদ নামের এক ভর্তিচ্ছুর প্রক্সি দেওয়ার জন্য। পরে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

এ ঘটনা নিয়ে একটি গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে তন্ময়ের শুধু একটি ব্যাংক হিসাব নম্বরে ৪২ লাখ টাকা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢোকার প্রমাণ পাওয়ার তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ সংবাদ প্রকাশের পর তন্ময়কে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় কারণে তাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল- ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে আমি জানতে পেরেছি। আমি মনে করি সঠিক কাজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গত ২০ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই সুনামকে কলুষিত করতে চায় এ ধরনের চক্র। এরা আমাদের পরীক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় এবং অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে চায়। এদের সমুচিত শাস্তি হওয়া উচিত এবং বিচারের আওতায় আনা উচিত। একই সাথে অধিকতর তদন্ত করে দেখা উচিত এদের সাথে আরও কারো জড়িত আছে।

প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপ-উপাচার্য বলেন, এই ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করার জন্য এবং আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছি আমরা।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর