রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘সোজা চলে যাবি, ডানে-বামে কোথাও তাকাবি না’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

‘সোজা চলে যাবি, ডানে-বামে কোথাও তাকাবি না’
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অবস্থানকালে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে মারধর ছাড়াও মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বুধবার (৩ আগস্ট) শাহবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রজিত দাস (২৮) নামে ওই ভুক্তভোগী। তিনি নড়াইলের নড়াগাতি থানার গন্ধবাড়ীয়ার বিরেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারধরে অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মো. তুষার হোসেন ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. শামীমুল ইসলাম। তারা দুজনেই সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান খান সোহানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

থানায় দেওয়া অভিযোগে প্রজিত দাস উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার রাতে আমি মোটরসাইকেলযোগে পলাশী থেকে টিএসসির উদ্দেশে রওনা হই। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে সূর্যসেন হলের মো. তুষার হোসেন ও মো. শামীমুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জন আমার গতিরোধ করে। পরে তারা মোটরসাইকেল থামিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে সূর্যসেন হলের গেস্টরুমে নিয়ে মারধর করে। সেই সঙ্গে আমার মোটরসাইকেল, আইফোন ও নগদ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারপর খালি হাতে ধাক্কা মেরে বের করে দিয়ে বলেন, ‘তুই সোজা চলে যাবি। ডানে-বামে কোথাও তাকাবি না।’ একই সময় তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।


বিজ্ঞাপন


অভিযোগে প্রজিত আরও উল্লেখ করেছেন, মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে এস এম হলের ছাত্রলীগ নেতা ছাত্র মিলন খান (২৭) ও সাগর হোসেন সোহাগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে তারা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। এরপর সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি

আরও পড়ুন: রাবির হবিবুর রহমান হলে নতুন প্রাধ্যক্ষ

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী মো. তুষার হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ঘটনাটি হল গেটে হয়েছে। আমাকে নিতে এক সিনিয়র ভাই বাইক নিয়ে প্রজিতকে পাঠায়। পরে আমি প্রজিতের সঙ্গে দেখা করলে সে বলে- ভাই আপনাকে ‘তুলে নিয়ে যেতে বলেছে’। এই কথায় আমার জুনিয়ররা ক্ষেপে যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে এস এম হলের এক সিনিয়র ভাই এসে মিটমাট করে দেন এবং তারা প্রজিতের মোটরসাইকেলেই চলে যান।

পুরো ঘটনাটি তখনই শেষ হয়ে যায় দাবি করে তুষার বলেন, মোবাইল চুরি, মোটরসাইকেল আটক বা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একই দাবি করেছেন অপর অভিযুক্ত মো. শামীমুল ইসলাম।

বিষয়টিতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘মারধর ও মোটরসাইকেল আটকে রাখার ঘটনায় সূর্যসেন হলের দুইজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রজিত নামে একজন বাদী থানায় অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে বাদীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি না। তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমরা দ্রুত বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছি।’

/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর