আগামীকাল (৩০ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন রাতে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
বিজ্ঞাপন
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি। এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেননি নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন। কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন আবেদন করেছে—এই প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেননি।
তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাসকার্ডের জন্য আবেদন করেছে।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরাই থাকলেই হয়। কিন্তু হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।
বিজ্ঞাপন
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, রাজনৈতিক বা ছাত্র নেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয় এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।
এআর

