জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ‘মেধাবী’ প্রকল্পকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক হল বা আবাসিক হল হিসেবে বিবেচনা না করার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে সংস্থাটি তাদের অরাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের নাম জড়ানোর ফলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির আহমদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দফতরে পাঠিয়ে এ অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে বলা হয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন একটি সম্পূর্ণ দাতব্য ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ফাউন্ডেশন ও মেধাবী প্রকল্পের নাম জড়িয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে, যা তাদের মূলনীতি ও আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মেধাবী প্রকল্প ’ একান্তই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের একটি স্বতন্ত্র প্রকল্প। তাই এটিকে প্রশাসনিকভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হল বা আবাসিক হল হিসেবে বিবেচনা না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মাধ্যমে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। এর আওতায় গত ১৬ জুলাই ২০২৫ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে এই প্রকল্পে ৬৪৫ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন।
প্রকল্পটির ব্যয়ের বিষয়ে চিঠিতে জানানো হয়, এটি প্রতিষ্ঠায় ফাউন্ডেশন প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কার্যক্রম পরিচালনার মোট ব্যয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ ফাউন্ডেশন নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করে, আর বাকি ১০ শতাংশ ছাত্ররা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা, এআই (AI), আইসিটি, ও লিডারশিপসহ বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমূলক ট্রেনিং দেওয়া হয় এখানে।
বিজ্ঞাপন
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন জানায়, দেশের কল্যাণে তারা এই উদ্যোগ এগিয়ে নিতে চায়। এ প্রেক্ষিতে ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে, সে বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে তারা আগ্রহী, যাতে ফাউন্ডেশন তার নীতি ও আদর্শে অটল থেকে প্রকল্পটি পরিচালনা করতে পারে।
ক.ম/

