বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা–২০২৫ প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পেতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ এবং তাদের নির্ধারিত হারে উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিষ্ঠান ও এলাকার ধরন অনুযায়ী পাসের হার সর্বোচ্চ ৭০ এবং সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ রাখা হয়েছে।
নিম্ন মাধ্যমিকে সিটি করপোরেশন ও জেলায় ৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে যথাক্রমে ৭০ ও ৬৫ শতাংশ, আর মফস্বলে ২৫ জনের মধ্যে ৬০ শতাংশ পাসের শর্ত রাখা হয়েছে। মাধ্যমিকে সিটি করপোরেশন ও জেলায় ৩৫ জনের মধ্যে ৭০ ও ৬০ শতাংশ এবং মফস্বলে ৫৫ শতাংশ পাস করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪০ জনের মধ্যে ৬৫ ও ৫৫ শতাংশ এবং মফস্বলে ৩৫ জনে ৫০ শতাংশ পাসের বাধ্যবাধকতা থাকবে।
বিজ্ঞাপন
উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, স্নাতক (পাস) কলেজ, স্নাতক (সম্মান) কলেজ ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ক্ষেত্রেও বিভাগ ও অবস্থানভেদে ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পাসের হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুধু পাসহার নয়—বেতনের সরকারি অংশ পেতে ন্যূনতম শিক্ষার্থী সংখ্যার শর্তও যুক্ত করা হয়েছে। নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ এবং মফস্বলে ৯০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ শিক্ষার্থী বাধ্যতামূলক। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ২৫০–৩৯০ এবং মফস্বলে প্রায় ১৯০ জন শিক্ষার্থী থাকার বিধান যুক্ত হয়েছে। একইভাবে কলেজ পর্যায়ে শহর ও মফস্বলভেদে ভিন্ন ভিন্ন ন্যূনতম শিক্ষার্থী সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ১০ বছর চাকরির পর সহকারী শিক্ষকরা সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। তবে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেড পেলেও পদোন্নতির সুযোগ পাবেন না।
এম/এআর

