মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এনটিআরসিএ বঞ্চিতদের লংমার্চ আটকে দিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

এনটিআরসিএ বঞ্চিতদের লংমার্চ আটকে দিল পুলিশ
এনটিআরসিএ বঞ্চিতদের লংমার্চ আটকে দিল পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও নিয়োগবঞ্চিত সনদধারীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি আটকে দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী প্রেস ক্লাব থেকে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথ আটকে দেন।


বিজ্ঞাপন


পথ আটকে দেওয়া হলে আন্দোলনকারীরা মূল সড়কে বসে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর তারা আবারও প্রেস ক্লাবের সামনে ফিরে গিয়ে আন্দোলন ৩২তম দিনের মতো অবস্থান করেন। তারা বলছেন, নির্বাহী আদেশে নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন এবং প্রয়োজনে আমরণ অনশন চলবে।

নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও সুরাহা হয়নি। তাদের দাবি, বিগত সরকারের সময়ে প্রায় ৬০ হাজার জাল সনদের ধারক নিয়োগ পেয়েছেন, অথচ বৈধ সনদধারীরা বঞ্চিত হয়েছেন। একই রোলে একাধিক প্রার্থীকে জালিয়াতির মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের নির্বাহী সদস্য আমির হোসেন, নীলিমা চক্রবর্তী, জিএম ইয়াসিন, নাসরীন সুলতানা, রুহুল আমিন গাথি, শাহ আলম, জান্নাতুন ফেরদৌস, রুহুল আমীন হাতেমীসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি, জেলা কমিটি এবং সাধারণ সদস্যরা।

সরকারি আশ্বাস বহুবার এলেও প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে উল্লেখ করে আন্দোলনকারীরা বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।


বিজ্ঞাপন


বক্তারা বলেন, ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সনদধারী প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসলেও এখনও কাঙ্ক্ষিত ফল পাননি। ২০০ দিনের আন্দোলনের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আশ্বাস মিললেও পরবর্তীতে কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এনটিআরসিএ ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায়। পরে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির প্রস্তাবনা আইনগত মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হলেও নিয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এমনকি কিছু প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাহী আদেশে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেকারত্ব, মানবেতর জীবনযাপন, পারিবারিক ও মানসিক অস্থিরতা তাদের চরম হতাশায় ঠেলে দিয়েছে। তাই মানবিক বিবেচনায় প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশ এখনই নিয়োগের একমাত্র সম্ভাবনা।

এএইচ/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর