মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নির্বাহী আদেশ চান ১–১২তম নিবন্ধিত শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

নির্বাহী আদেশ চান ১–১২তম নিবন্ধিত শিক্ষকরা

প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধিত এনটিআরসিএ শিক্ষকরা দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও নিয়োগ-জট কাটাতে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশের দাবি জানিয়েছেন। আইনগত জটিলতা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সময়ক্ষেপণে নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে পড়ায় তারা মানবিক বিবেচনায় জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এ দাবি জানান। কর্মসূচি শেষে বঞ্চিত শিক্ষকরা ‘পদযাত্রা টু যমুনা’ পালন করেন।


বিজ্ঞাপন


কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের নির্বাহী সদস্য আমির হোসেন, নীলিমা চক্রবর্তী, জিএম ইয়াসিন, নাসরীন সুলতানা, রুহুল আমিন গাথি, শাহ আলম, জান্নাতুন ফেরদৌস, রুহুল আমীন হাতেমীসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি, জেলা কমিটি এবং সাধারণ সদস্যরা।

বক্তারা বলেন, ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সনদধারী প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসলেও এখনও কাঙ্ক্ষিত ফল পাননি। ২০০ দিনের আন্দোলনের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আশ্বাস মিললেও পরবর্তীতে কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এনটিআরসিএ ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায়। পরে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির প্রস্তাবনা আইনগত মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হলেও নিয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এমনকি কিছু প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাহী আদেশে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।


বিজ্ঞাপন


নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেকারত্ব, মানবেতর জীবনযাপন, পারিবারিক ও মানসিক অস্থিরতা তাদের চরম হতাশায় ঠেলে দিয়েছে। তাই মানবিক বিবেচনায় প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশ এখনই নিয়োগের একমাত্র সম্ভাবনা।

প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধিত বঞ্চিত সনদধারী প্রার্থীরা জানান, তারা অবিলম্বে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বয়স ও সনদের মেয়াদ শিথিল করে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এএইচ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর