রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য অধ্যাদেশ জারির দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে রয়েছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি আজ সোমবার বিকালেও অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কে বসে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন—‘রাষ্ট্র, তোমার সময় শেষ, জারি কর অধ্যাদেশ’, ‘অধ্যাদেশ ছাড়া রাজপথ ছাড়বো না’ ইত্যাদি।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, শতাধিক শিক্ষার্থী সড়কে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাঁদের দাবি, নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই তাঁরা এখান থেকে সরবেন না।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গত রাতেও কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান করেছিলেন। দিনের শুরু থেকে বিভিন্ন কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে এসে যুক্ত হন আরও অনেক ছাত্রছাত্রী।
এর আগে রোববার দুপুরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে বিকালে তাঁরা হাইকোর্ট মোড় অবরোধ করেন। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনের পর জনদূর্ভোগ কমানোর কথা বিবেচনায় হাইকোর্ট মোড় থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও শিক্ষা ভবনের সামনের সড়ক অবরুদ্ধ রাখা হয়।
এ অবস্থানের কারণে সচিবালয় অভিমুখে সড়কের একটি পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান খান ঢাকা মিলকে বলেন, অধ্যাদেশ ছাড়া সমাধান নেই। আমরা আমাদের এক দফা দাবি আদায় করেই ফিরে যাব। আন্দোলনের ফসল কিভাবে ঘরে তুলতে হয়, আমাদের তা জানা আছে।

বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আজ সকাল ১০টা থেকে সাত কলেজে পৃথক পদযাত্রা হয়েছে। সবাই এসে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। যারা পরীক্ষার মধ্যে আছেন, তারাও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর বিরোধিতা করছেন ঢাকা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তারা গতকাল শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
কিছু কলেজ শিক্ষকও প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা জানিয়ে আসছেন। ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীদের একটি অংশ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
গত শনিবার সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশও প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দেন। ফলে সাত কলেজকে ঘিরে সংকট আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
অধ্যাদেশ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীরবতা
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ কবে জারি হবে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কিছু জানাতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এমআর/এআর

