রাস্তায় নেমেছেন ঢাকার সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির’ অধ্যাদেশ জারির দাবিতে তিন ঘণ্টা ধরে মৎস্য ভবন এলাকায় অবস্থিত শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ করে রেখেছেন তারা।
এরই জেরে ওই এলাকার সবগুলো সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে শিক্ষা ভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত আছে জলকামান এবং রায়টকারও।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: শাহবাগ ছাড়লেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে চার শতাধিক শিক্ষার্থীদের একটি দল শিক্ষা ভবনের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দ্রুত অধ্যাদেশের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারিতে কালক্ষেপণের ফলে নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নামতে হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা কোনো এসি রুমে আলোচনায় বসব না। সচিবালয়েও যাবো না। আমাদের দাবি একটাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তা না হলে কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন গড়ে তুলবো।
শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট, উই ওয়ান্ট, অর্ডিন্যান্স, অর্ডিন্যান্স’, ‘সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো’, ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘তালবাহানা বন্ধ করো, অধ্যাদেশ জারি করো’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে দুপুরে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হন। পরে একযোগে স্লোগান দিতে দিতে শিক্ষা ভবনের উদ্দেশে যাত্রা করেন। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষা ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শিক্ষা ভবনের মূল ফটকের প্রবেশদ্বারে দেওয়া হয় ব্যারিকেড।
গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। প্রস্তাবিত খসড়া আইন শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করলেও এখনো চূড়ান্ত অধ্যাদেশের কোনো অগ্রগতি নেই। এতে পরিচয় সংকট, অ্যাকাডেমিক অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।
এএইচ

