শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, পরীক্ষায় সব ছাত্ররাই লিখে নম্বর পাবেন, এটা না হয়ে রাষ্ট্র তাদের নম্বর উপহার দেবে এই বিষয়টা একেবারেই খারাপ ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি এটা বাদ দেওয়ার। এবং আমার মনে হয় সেটা থেকে শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা ও ছাত্ররা উপকৃত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিলনায়তনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনীমূলক মূল্যায়ন পদ্ধতি সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
বিজ্ঞাপন
চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, নিজেদের সাকসেস প্রক্রিয়াকরণ আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। সেই সফলতা কীসের ভিত্তিতে হবে সেটা না জানলে আমরা এগুতে পারবো না।
উপদেষ্টা বলেন, ক্লাসের বাইরের অনেক বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রাইভেট-কোচিং সেন্টার, গাইড বই। আমাদের কোচিং সেন্টার বাড়ছে। এগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। প্রাইভেট-কোচিং কোনো বাড়ছে। কোনো এর চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। ছাত্ররা কোনো এগুলোতে যাচ্ছে- এই কারণগুলো খুঁজে করতে হবে। এগুলো বন্ধ করলেই কি বন্ধ হবে কিনা, সেখানে রাষ্ট্রের কী করণীয় সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
আমাদের শিক্ষায় অনেক দুর্বলতা রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা হয়তো দায়িত্বে থাকবো না। কিন্তু কিছু জিনিস আমরা হয়তো দিয়ে যেতে পারছি যেগুলো পরবর্তীতে যারা দায়িত্ব নেবেন তারা চলমান রাখবেন।
অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
এএসএল/ক.ম

