জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন পেছানোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের নীলনকশা করছে বলে অভিযোগ করেছে জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় নির্বাচন কমিশনার বারাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এই অভিযোগ করে ছাত্রশিবির। পূর্বঘোষিত ২৭ নভেম্বরেই জকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
জবি ছাত্রশিবির সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি আমরা খুবই উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, শিক্ষার্থীদের অধিকার এই জকসু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী নীলনকশা শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকারকে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই গোষ্ঠী।
বিজ্ঞাপন
ছাত্রশিবিরের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। নির্বাচন বিলম্বের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। নির্বাচন পেছানোকে আমরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র মনে করছি। কারণ ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২১তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
১৬ ডিসেম্বর জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা আয়োজন থাকায় এসময় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কিন্তু তখন যদি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় কিংবা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়, তবে জকসু নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়বে। এরপর আসবে শীতকালীন ছুটি। তখন শিক্ষার্থীরা থাকবে না, অনেকে বাসায় যাবেন। ফলে ২০ তারিখের পরও নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
বিজ্ঞাপন
স্মারকলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ২০ বছর পর এই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জকসু নির্বাচন আগামী ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে রোডম্যাপ প্রকাশ করে।
পরে গত ৭ অক্টোবর ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২৮ অক্টোবর জকসু বিধিমালা পাস হওয়ার পরদিন পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়।
প্রতিনিধি/ক.ম/

