রোববার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

আনন্দভিত্তিক শিক্ষার অঙ্গীকারে কিডস টাইমের অষ্টম বর্ষপূর্তি  

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

A
ধানমন্ডি শাখায় আয়োজিত আফটার-স্কুল প্রতিষ্ঠান কিডস টাইসের অষ্টম বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। ছবি- ঢাকা মেইল

শিশুদের জন্য আনন্দময়, সৃজনশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর শেখার পরিবেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারে আফটার-স্কুল প্রতিষ্ঠান কিডস টাইম অষ্টম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি শাখায় আয়োজিত এই রঙিন উৎসবে অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। 


বিজ্ঞাপন


কিডস টাইমের ধানমন্ডি, খিলগাঁও, সাভার, রাজশাহী ও কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন শাখার ভিন্ন বয়সি শিশুরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। পাশাপাশি সহযোগী একাধিক প্রিস্কুলের শিক্ষার্থীও এতে অংশ নেয়।

A3

উৎসব মুখর পরিবেশে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ছিল শিশুদের পরিবেশনা, অংশগ্রহণমূলক গেম, সৃজনশীল কার্যক্রম এবং অভিভাবকদের উপস্থিতিতে নানা আয়োজন। উপহার পার্টনার হিসেবে উৎসবে যুক্ত ছিল জনপ্রিয় শিশু ব্র্যান্ড ‘গুফি’ এবং বেভারেজ পার্টনার ছিল ‘আরাম’। শেখার অংশে সহযোগী হিসেবে ছিল শিক্ষাবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ‘টিচার্স টাইম’। শিশুদের অংশগ্রহণে পুরো অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন।

২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা কিডস টাইম ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশে বসবাসরত অভিভাবকদের সন্তানসহ ৫ হাজারেরও বেশি শিশুর কাছে পৌঁছেছে। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির বাইরে খেলাধুলা ও অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শেখানোর যে মডেল প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে, তা শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস, কল্পনা ও কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। এ মুহূর্তে কিডস টাইম বিভিন্ন শাখায় আর্ট, স্টোরিটেলিং, সিঙ্গাপুর ম্যাথ ও কমিউনিকেশন স্কিলসহ বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করছে।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে কিডস টাইমের প্রতিষ্ঠাতা তাহমিনা রহমান সাথী বলেন, শিশুদের শেখার ক্ষেত্রে আনন্দ সবচেয়ে বড় প্রভাব তৈরি করে। শিশুরা যখন শেখার আনন্দ অনুভব করে, তখন শিক্ষার প্রভাব স্থায়ী হয় এবং শিশুর আচরণ ও চিন্তার মধ্যে পরিবর্তন আসে। গত আট বছরে আমরা হাজার হাজার শিশুর জীবনে সেই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি। আগামী দিনে আরও বেশি পরিবারের কাছে কিডস টাইমের আনন্দভিত্তিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে চাই।

A2

অষ্টম বছর পূর্তি উদযাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি নবম বছরে প্রবেশ করল। নতুন বছরে আরও বিস্তার, নতুন কোর্স এবং দেশের বাইরে বসবাসরত বাংলা ভাষাভাষী শিশুদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। 

আয়োজকরা জানান, শিশুদের আত্মবিশ্বাস, কৌতূহল ও আনন্দকে ভিত্তি করে ভবিষ্যতের উপযোগী শেখার পথ তৈরি করাই কিডস টাইমের মূল লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানের শেষে কেক কাটা ও শিক্ষার্থীদের উপহার বিতরণের মাধ্যমে বর্ষপূর্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। কিডস টাইমের অষ্টম বর্ষপূর্তি উদযাপনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের আনন্দময় উপস্থিতিই ছিল অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

এএইচ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর