অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৩৩ ঘণ্টা টানা অনশন শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তাঁরা এই কর্মসূচি স্থগিত করেন।
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত এই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, তিন মাস আগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এখনো ক্লাস শুরু না হওয়ায় তাঁরা অনশন কর্মসূচিতে বসেছিলেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করা।
বিজ্ঞাপন
সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস। আলোচনায় ছাত্রনেতারা জানান, শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জবাবে অধ্যাপক ইলিয়াস আশ্বাস দেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে যত দ্রুত সম্ভব ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন ও ক্লাস শুরু করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৈঠক শেষে তাঁর উপস্থিতিতেই শিক্ষার্থীরা জুস পান করে অনশন ভাঙেন।
অনশনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ক্লাস ও ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা। প্রশাসনের সদিচ্ছা ও লিখিত আশ্বাস পাওয়ায় আমরা আপাতত অনশন স্থগিত করেছি। তবে আগামী ১০ তারিখের মধ্যে বাস্তব অগ্রগতি না হলে আবারও কর্মসূচিতে নামবো।’
অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলেই শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে তাঁর কাছে উপস্থাপন করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে, বুধবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। দীর্ঘ সময় অনশন চলায় দুজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যজনকে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চলমান সংকট নিরসন ও দ্রুত ক্লাস শুরু না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এম/এআর

