জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, পূর্বের গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির প্রেশার (চাপ) আমাদের ওপরে এখনো রয়ে গেছে। তবে, আমরা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতেছি। এছাড়া জবিতে একটি ইনোভেশন ল্যাব চালু ও আগামী ৯ নভেম্বর মধ্যে অডিটোরিয়ামের কাজের মেয়াদ শেষ হবে হবে বলে জানান।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) উদ্যোগে প্রশাসনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ ম্যাগাজিন ‘সম্বর্ত’র মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ম্যাগাজিনে প্রশাসনের এক বছরে অর্জন ও ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়। এছাড়া গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে সফলভাবে বের হওয়ার বিষয়টি আলোকপাত করা হয়।
উপাচার্য বলেন, ‘জবিসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উন্নয়ন ও ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমন উদ্যোগ তরুণ সাংবাদিকদের সৃজনশীলতা ও দায়িত্ববোধকে আরও উজ্জীবিত করবে।'
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি ইমরান হুসাইন। সঞ্চালক ছিলেন জবিসাসের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন। আরও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম।
'সম্বর্ত' প্রকাশের উদ্দেশ্য উল্লেখ করে ইমরান হুসাইন বলেন, ‘জবিসাস সবসময় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নযাত্রায় অংশীদার হতে চায়। ‘সম্বর্ত’ ম্যাগাজিনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বছরের অর্জন, ব্যর্থতা, সম্ভাবনা ও বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ম্যাগাজিন তরুণ সাংবাদিকদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এবং উল্লেখিত সংকট সমাধানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তা, লেখালেখি ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার এই প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও সমৃদ্ধ করবে।’
জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম বলেন, ‘সম্বর্ত’ শুধু একটি ম্যাগাজিন নয়, এটি জবির উন্নয়নযাত্রার দলিল। জবিসাসের সদস্যরা যে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে, তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।’
‘সম্বর্ত’ ম্যাগাজিনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক বছরের সাফল্য, শিক্ষার্থীদের অর্জন, গবেষণা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
ক.ম/

