ইউটিএল জবি শাখার নেতৃত্বে ড. আবু লায়েক ও ড. সাদী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল) শাখার আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু লায়েককে আহ্বায়ক এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাদীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে ইউটিএলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস এই কমিটি ঘোষণা করেন।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, ১৯৪৭-এর আজাদি, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ইউটিএল এক সুনির্দিষ্ট ভিশন নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। সংগঠনের ভিশন হলো— একটি মর্যাদাসম্পন্ন, স্বাধীন ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একাডেমিয়া গড়ে তোলা, যা শিক্ষা, গবেষণা ও নৈতিক দায়িত্ববোধের মানদণ্ড অনুসরণ করে। পাশাপাশি সংগঠনটি পাঁচটি মৌলিক কাজ— একাডেমিক উৎকর্ষতা, আত্মমর্যাদা, জাতীয় প্রতিশ্রুতি, ধর্মীয় সহনশীলতা ও সমষ্টিগত দায়িত্ব— এ কাজ করবে।

সদস্যপদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, যিনি ইউটিএলের মূলনীতি, ভিশন, মিশন, লক্ষ্য ও কার্যাবলীর সঙ্গে একমত, তিনি এর সদস্যপদের জন্য যোগ্য।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, চিন্তার দিক থেকে ইউটিএল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও মুসলিম জাতীয়তাবাদী শিক্ষকগণের সংগঠন। এটি মধ্যপন্থী, ডানপন্থী ও ইসলামপন্থীদের সংগঠন— বিশ্বাসীদের সংগঠন। ধর্মবিশ্বাসী যেকোনো ধর্মের মানুষ ইউটিএলের সদস্য হতে পারবেন। তবে নিজেকে সেকুলার বা ধর্মহীন পরিচয় দেন, এমন কাউকে ইউটিএলের সদস্য করা হয় না।

ডাকসু নির্বাচনে ইউটিএলের ভূমিকা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, ইউটিএল সর্বদা চেয়েছে যেন সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে লক্ষ্যে ইউটিএল প্রশাসনকে নানা পরামর্শ দিয়েছে এবং ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের আওতায় রেখেছে। আমরা আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করব, ইনশাআল্লাহ।