এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)। একইসঙ্গে সংগঠনটি বলেছে, স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্র শিক্ষকদের প্রাপ্য মর্যাদা প্রদানে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে সরকারের এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন ইউটিএলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন।
বিবৃতিতে ইউটিএল নেতারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল বাড়িভাড়া বৃদ্ধি। কয়েক দিনব্যাপী টানা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার দুই ধাপে মোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইউটিএল এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষক সমাজের প্রতি সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন হিসেবে দেখছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের অন্যান্য যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছে।
নেতারা বলেন, শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও দায়িত্বশীল আন্দোলন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাস্তবতা অনুধাবনে বাধ্য করেছে। সরকার আরো আগেই বিষয়টি সমাধান করলে ভালো হতো। ইউটিএল প্রথম থেকেই শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছে।
বিবৃতিতে ইউটিএল আন্দোলনের সফলতায় সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষক-শিক্ষিকা, আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। ইউটিএল আশা প্রকাশ করে যে, সরকার শিক্ষকগণের পেশাগত নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ভবিষ্যতে শিক্ষকগণকে যাতে আন্দোলন করে দাবি আদায় করতে না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেতারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্র শিক্ষকদের প্রাপ্য মর্যাদা প্রদানে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব ছিল শিক্ষকদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি আদর্শ জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করা। ছয়টি কমিশন গঠিত হলেও শিক্ষা সংস্কার বিষয়ক কোনো কার্যকর কমিশন এখনো গঠিত হয়নি, যা দুঃখজনক। ইউটিএল বিশ্বাস করে, সরকারের সদিচ্ছা ও সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতায় শিক্ষকগণের জন্য একটি স্বতন্ত্র পে-স্কেল গঠন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আরো আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শিক্ষক- শিক্ষার্থী- বান্ধব হয়ে উঠবে।
বিজ্ঞাপন
ক.ম/

