বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী: জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন রাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসুর পুনর্জাগরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনবে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নেতৃত্ব বিকাশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ‘রাকসু নির্বাচন ২০২৫: নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও নেতৃত্ব নির্বাচনে তাদের পছন্দ’ শীর্ষক সোচ্চারের নির্বাচনী জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।


বিজ্ঞাপন


রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের হার প্রায় ৬৯ শতাংশ এবং পুরুষ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ৮৬ শতাংশের বেশি। অনেকেই জানিয়েছেন, তারা নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ভোট দিতে চান। কারণ, রাকসু শুধু ছাত্রনেতা নির্বাচনের ক্ষেত্র নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান ও নীতি নির্ধারণে সরাসরি অংশগ্রহণের একটি সুযোগ।

দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে রাকসু নির্বাচন না হওয়ায় বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কখনও এই গণতান্ত্রিক চর্চার অভিজ্ঞতা পাননি। ফলে তাঁদের কাছে এটি শুধু একটি নির্বাচন নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন। তাঁরা চান, নির্বাচনের মাধ্যমে এমন নেতৃত্ব আসুক যারা দলীয় সীমার বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করবে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসবে। তবে তাঁদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগও আছে—অতীতের মতো সহিংসতা বা দলীয় প্রভাব যেন আবার না ফিরে আসে। তাঁদের মতে, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও ছাত্রসংগঠনগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলে রাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।

তাঁদের ভাষায়, রাকসু একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা, আবাসন সমস্যা, ছাত্রকল্যাণ ও সংস্কৃতিচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এখন সময় এসেছে সেই ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার। রাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস গড়ে উঠবে, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবে।


বিজ্ঞাপন


এএইচ/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর