গণতন্ত্রের কর্মী হিসেবে পরাজয়কে মেনে নেওয়া আমার রাজনীতিশিক্ষার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত এজিএস পদপ্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
মায়েদ লিখেছেন, ‘২০১৯ সালে প্রথমবর্ষে থাকাকালে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ১০ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাও? ঘোরতর ফ্যাসিবাদের আমলে, ভরা মজলিসে আমি বলেছিলাম, ১০ বছর পর নিজেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই।’
তিনি লিখেছেন, ‘ডাকসুর মতো বড় একটা প্লাটফর্মে এই বয়সেই আমি সংগঠন কর্তৃক উপস্থাপিত হবো, আমি কখনোই ভাবিনি। কিন্তু সংগঠন আমাকে বিশ্বাস করেছে, আস্থা রেখেছে আমার উপর, আমাকে যোগ্য মনে করেছে।’
মায়েদ বলেন, ‘আমি প্রিয় সংগঠনের আস্থার প্রতিদান দিতে পারিনি, জয় করতে পারিনি শিক্ষার্থীদের মন। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হবো- এমন দুর্বলতা আমার মননে নেই।’
তানভীর আল হাদী মায়েদ বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি পড়ার টেবিলে বসবো, রাজপথে মিছিল করবো, আলোচনার টেবিলে সমস্যা নিয়ে কথা বলবো। শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধানে আমি তাদের কণ্ঠে কথা বলবো।’
বিজ্ঞাপন
আরও বলেন, ‘সাগর সাঁতরে পেরোনোর পণ করেছি, সবেতো একটা দ্বীপে এসে পৌঁছালাম।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচনের ভোট। সেখানে এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের প্রার্থী মহিউদ্দিন খানের কাছে পরাজিত হন ছাত্রদলের এই প্রার্থী।
এসএইচ/এএইচ
