নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ছাত্রদল থেকে বহিষ্কৃতদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) শহীদুল্লাহ হলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মোসাদ্দেক আল হক শান্তকে ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন শাওনের সঙ্গে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও, এর আগের দিন শনিবার রাতে ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ছাত্রদলের শহীদুল্লাহ হল শাখার বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান সৌরভকে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে থাকা এবং তা গোপন করায় শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান সৌরভ এবং ছাত্রলীগে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে শহীদুল্লাহ হলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক আল হক শান্তকে ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতায় জড়িতদের প্রচারণায় রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
উক্ত বিষয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঢাবি ছাত্রদলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যারা ফ্যাসিবাদী সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি, নির্যাতিত হয়েছি তাদের এখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। আর যারা ওই সময় ছাত্রলীগের সাথে মিলেমিশে ছিল, তাদের এখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এমনকি তাদের প্রচারণায়ও রাখা হয়।

বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন শাওন বলেন, জুমার নামাজের পরে একটু হাঁটতে বের হলে তাদের সঙ্গে দেখা হয়। তারা বহিষ্কৃত হলেও ডাকসুর ভোটার। তারা যেকোনো প্রার্থীর প্রচারণা চালাতেই পারে। এ বিষয়ে আমি কোনো দোষ দেখছি না।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি একটা রুমে গিয়েছিলাম, সেখানে তারা আগে থেকেই ছিল, তখন ভোটারদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় তারাও ছবিতে আসে। নির্বাচনি প্রচারণার কাজে তারা আমার সঙ্গে ছিল না।
আইএসএস/এফএ

