ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে জিএস পদে প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন বামজোটের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএম ফাহমিদা আলম। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) হাইকোর্টে ওই রিট দাখিল করা হয়।
এই প্রার্থিতা বিতর্কের পর, ফাহমিদা আলমের বিরুদ্ধে, গত জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোস্টেশনের ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নেটিজেনে ‘ ভাইরাল’ ছবির সঙ্গে যুক্ত করে সমালোচনা করা হয়। তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে, তিনি সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
বিজ্ঞাপন
ফাহমিদা বললেন, ছবিটি মেট্রোস্টেশনের নয়। এটি চারুকলার এক ভাঙা কাঁচের ছবি। এটি ২ মে ২০২৪ সালে তোলা। শিল্প বোঝেন তারাই বুঝবেন এর মানে।
তারা আরও দেখেন, ওই সময় (জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়), তিনি কোনো আন্দোলন‑সম্পর্কিত পোস্ট করেননি। বরং শুধুমাত্র ৩০ জুন তিনি ওই ভাঙা কাঁচের ছবি শেয়ার করেছিলেন। এই সহ‑প্রেক্ষাপটই মূলত ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

অন্যদিকে, ডাকসুতে বাম‑জোট প্যানেলের সদস্য পদে লড়ছেন হেমা চাকমা। তিনি আগে ছিলেন ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক উপ‑সম্পাদক। কিন্তু সম্প্রতি তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমাকে নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে গোঁড়া মন্তব্য পোস্ট করেন, যা ব্যাপক সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পড়ে। পরবর্তীতে পোস্টটি তিনি সরিয়ে নেন।
হেমা চাকমার অন্য একটি বক্তব্যও আছে। এক গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, আমাকে ভোট না দিলে আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হেরে যাবে। কারণ আমি সবসময় যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে। কিন্তু তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, গত ১৫ জুলাই, যখন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, সেই রাতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরছিলেন। ছবিতে তাকে দুই বান্ধবীর সঙ্গে হাসিখুশি ভঙ্গিতে দেখা যায়।
নেটিজেনরা বলছেন, ফাহমিদা আলম শিবির সভাপতি এসএম ফরহাদকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে, তার বিরুদ্ধে রিট করলেও, তারই প্যানেলে ঘাপটি মেরে থাকা ছাত্রলীগের পদধারীর ব্যাপারে কোনো কথা বলছেন না। এতেই বোঝা যায় শিবির কিংবা এস এম ফরহাদের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বীত হয়েই এই রিট দায়ের করেছেন।
আবার কেউ কেউ বলছেন, মূলত ছাত্রলীগের প্রেসক্রিপশনের ফাহমিদা এই রিট করেছেন। যাতে ডাকসু নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়।
এইউ

