জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জকসু) গঠনের নীতিমালা বাস্তবায়ন ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে ‘জকসু নির্বাচন ২০২৫: কবে চাই, কেমন চাই’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের পাদদেশে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের শাখা সহ-সভাপতি খাদিজাতুল কুবরা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ।
বিজ্ঞাপন
আলোচনায় শিক্ষার্থীরা জকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা, প্রত্যাশা এবং দ্রুত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ে জকসু নির্বাচন এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডারে জকসু অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তারা।
নাট্যকলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আরেফিন সৌরভ বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চলে সরকারি অর্থায়নে, যার যোগান দেয় দেশের কৃষক-শ্রমিকসহ সব শ্রেণির মানুষ। সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা রয়েছে সমগ্র জনগণের প্রতি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঠিক রাজনৈতিক আদর্শের চর্চা জরুরি, আর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সেই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হতে পারে।’
নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অর্ঘ শ্রেষ্ঠ দাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি প্রয়োজন, যা নিশ্চিত হবে জকসু নির্বাচনের মাধ্যমে। আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। প্রশাসন যদি এ বিষয়ে গড়িমসি করে, তাহলে আমাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নামতে হবে।’
আলোচনায় শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, “অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে গড়িমসি করছে। ছাত্রদের দাবি প্রশাসন পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ হলো প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণী বডিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নেই। গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।”
বিজ্ঞাপন
সমাপনী বক্তব্যে শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন প্রয়োজন। আমরা এ বছরেই জকসু নির্বাচনের দাবি জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান সংকট নিরসন এবং সকল লিঙ্গ, জাতি ও ধর্মের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য নির্বাচিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদই হতে পারে একমাত্র কণ্ঠস্বর। ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে এবং যেন কোনো সংগঠন ছাত্রলীগের মতো সন্ত্রাসী দখলদারিত্বের রাজনীতি পুনরায় কায়েম করতে না পারে, সেজন্য জকসু নির্বাচন অপরিহার্য। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা দমন করতে সর্বত্র জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
প্রতিনিধি/এআর

