শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

স্কুলশিক্ষার্থী শিহাব হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২, ০৬:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

স্কুলশিক্ষার্থী শিহাব হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

টাঙ্গাইলের স্কুলশিক্ষার্থী শিহাব মিয়া হত্যার ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।


বিজ্ঞাপন


মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও স্যার এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আতাউল্লাহ, শিহাবের পিতা মো. ইলিয়াস হোসেন ও তার বোন বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, আমি শিহাবের লাশটি দেখেছি। তার শরীরের বুকে, হাতে, পায়ে, পিঠসহ অনেকদিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যেদিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে সবদিকে রক্ত জমাট হয়ে ছিল। এমন একটি ঘটনাকে কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যা বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। এরকম অমনাবিক কাজ কোনো মানুষের পক্ষে করা সম্ভব না! তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদারকির আহ্বান জানান।

শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমার ছেলে ছিল নিষ্পাপ, সোনার মতো শিশু। সে অবুঝ ছিল। সে আত্মহত্যা করা বোঝে না। তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে আত্মহত্যা করেছে বলে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। ওরা মানুষ গড়ার কারিগর নয়, ওরা হত্যাকারী, ওরা অমানুষ এ সময় তিনি তার নিষ্পাপ ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।

শিহাবের বোন প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমার ভাই অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই স্কুলে নিজ থেকে ভর্তি হতে চেয়েছিল। সামনে পরীক্ষা দেখে পড়ার জন্য সে বাড়িতে বেশিদিন থাকতে চায়নি। তাই তাকে মেরে ফেলার তিন দিন আগেই সে বাড়ি থেকে স্কুলে চলে আসে। এই তিন দিনের ভেতরে এমন কী হয়েছিল সে আত্মহত্যা করতে যাবে! পরে তার খবর নিতে স্কুলে যোগাযোগ করা হলে একেকজন একেক রকম তথ্য দেয়৷ কেউ বলে অসুস্থ, কেউ বলে খেলতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে, তাই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারপর হাসপাতালে যোগাযোগ করলে জানায় এমন কোনো রোগী হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। তারপর একজন শিক্ষক আমাদেরকে ফোন দিয়ে মর্গ থেকে লাশ হাতে তুলে দেয় আর বলে আমার ভাই আত্যহত্মা করেছে। কী এমন হলো এরইমধ্যে তাকে মর্গে নিতে হলো? এখনও পর্যন্ত ওই আবাসিকের কোনো শিক্ষার্থীকে বের হতে দিচ্ছে না। তার দাবি, শিহাবকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।


বিজ্ঞাপন


এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাদের দাবি, এটা কখনও আত্মহত্যা হতে পারে না। এটা রহস্যজনক মৃত্যু, শিহাবকে হত্যা করা হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে তারা ন্যায় বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়।

গত ২০ জুন সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি স্কুলের আবাসিক ভবন থেকে ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিহাবের বাড়ি সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি গ্রামে।

ডব্লিউএইচ/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর