শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘তথ্য প্রবাহ অবাধ হলে প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা বাড়ে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২, ০৪:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

‘তথ্য প্রবাহ অবাধ হলে প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা বাড়ে’

তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তথ্যে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। 

তিনি বলেন, একইভাবে অবাধ তথ্য প্রবাহ প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আইনের ধারাসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। 

রোববার ইউজিসি আয়োজিত তথ্য অধিকার বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক দিল আফরোজা আরো বলেন, একটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। এটি তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। জনগণকে সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের আওতায় সঠিকভাবে চাহিত তথ্য প্রদান করতে হবে। সঠিক তথ্য প্রদান না করলে অনেকসময় বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। 

জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. একেএম শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, তথ্য অধিকার আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে তথ্যে জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হলে রাষ্ট্রের সকল স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পায় এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ সুগম হয়।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ না থাকলে সমাজে গুজব জন্ম নেয়। তথ্য অধিকার আইন কার্যকর বাস্তবায়নে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে বলে তিনি দৃঢ় মত পোষণ করেন।

ড. ফেরদৌস জামান বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানে কি কি কাজ হয়, কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা সেবা দিচ্ছে এসব বিষয়ে জানতে তথ্য অধিকার আইন নাগরিককে সহায়তা করছে। 

ড. একেএম শামসুল আরেফিন বলেন, তথ্য অধিকার আইন গোপনীয়তার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে একটি স্বচ্ছ ও জবাদিহিতামূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে। এই আইন নাগরিকের তথ্যে অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত ও শক্তিশালী করেছে।

প্রশিক্ষণের উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নেন স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ও কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভুঁইয়া ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. দুর্গা রানী সরকার। 

ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে কমিশনের ১৪ জন পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক ও সমপদের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

এসএএস/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর