রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২তম ব্যাচ (২০২৪-২৫ সেশন) এর একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা “৭২ ছাড়া রাকসু চলবে না, চলবে না”, “ফ্রেশারদের ভোটাধিকার দিতে হবে, দিতে হবে”, “রাকসু ফি দিয়েছি, ভোটাধিকার চেয়েছি”, “রাকসু আমার অধিকার, তুমি কে আটকাবার?”—ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেনজীর হোসেন বলেন, “ডাকসুতে নবীন শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারছে এবং তাদের ভোটার তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু রাকসুতে ৭২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমাদের দাবি—রাকসুর ভোটার তালিকায় ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”
মো. লতিফুর রহমান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যেখানে ডাকসুতে ভোট দিতে পারছে, সেখানে আমরা—যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি—রাকসুতে ভোট দিতে পারছি না। এমনকি ঢাবিতে ২০২৪-২৫ সেশনের একজন শিক্ষার্থী প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন; অথচ আমাদের সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটি স্পষ্টতই এক ধরনের বৈষম্য। রাকসুতে ভোটাধিকার না দিলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।”
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থান থেকে আমরা শিখেছি, কিভাবে অধিকার আদায় করতে হয়। এটি আমাদের শেষ কর্মসূচি নয়। রাকসু নির্বাচনে ভোটাধিকার না দিলে আগামীকাল (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে আমরা মানববন্ধনের আয়োজন করবো। অধিকার আদায়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ—লড়াই চালিয়ে যাবো।”
এ বিষয়ে রাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে যাদের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই রাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। যেহেতু ৭২তম ব্যাচের (২০২৪-২৫ সেশন) শিক্ষার্থীরা ওই সময়ের মধ্যে ভর্তি হয়নি, তাই নিয়ম অনুসারে তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আমরা নিয়মের বাইরে যেতে পারি না।”
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

