শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রোসাটমের শীর্ষ ৫০ নারী নেত্রীর তালিকায় জবি শিক্ষার্থী শিফা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

রোসাটমের শীর্ষ ৫০ নারী নেত্রীর তালিকায় জবি শিক্ষার্থী শিফা
সাবিতা বিনতে আজাদ শিফা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের শীর্ষ ৫০ নারী নেত্রীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী সাবিতা বিনতে আজাদ শিফা।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পারমাণবিক শক্তি প্রতিষ্ঠান ‘রোসাটম’-এর অধীনস্থ অবনিন্সক টেক একাডেমি তাঁকে “ভিজিবল পাওয়ার ফিমেল লিডারশিপ” ক্যাটাগরিতে মনোনীত করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আবেদনকারীদের নিয়ে কয়েক ধাপের বাছাই শেষে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে তাঁর পূর্ববর্তী কর্মঅভিজ্ঞতা, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ, অর্জিত পুরস্কার-স্বীকৃতি ও গবেষণা কার্যক্রমকে মূল্যায়ন করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নির্বাচিত ৫০ নারী নেত্রী অংশ নেবেন রাশিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড অ্যাটমিক উইক এবং আন্তর্জাতিক নারী নেতৃত্ব কর্মশালা ‘ফিমেল লিডারশিপ ক্যাম্প’-এ। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেবেন পারমাণবিক শিল্পের ৮০ বছরের সাফল্য উদযাপনে।

শিফা এর আগে রাশিয়ায় একাধিক সম্মেলন ও সামিটে যোগ দিয়েছেন। ভারতের মেঘালয়ের নর্থ-ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা-সংক্রান্ত কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসে (ইউআইটিএস) প্রভাষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ছাড়া শিফা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’-এর অধীনে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রকল্পে গ্রান্ট অ্যাকুইজিশন ম্যানেজমেন্টের লিড প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তরুণদের সফট স্কিল ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘ভিলেজ ইমপাওয়ারমেন্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তিনি নিজেই।

শিফার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। তাঁর বাবা ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ দু’বার জাতিসংঘের স্কলারশিপ পেয়েছিলেন এবং মস্কোর পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া (লুমুম্বা ইউনিভার্সিটি) থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। মা সোহরাত বেগম গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


shifa-

শিফা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সোচিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ তরুণ-তরুণীর সঙ্গে যোগ দেন। ২০২৪ সালের মে মাসে মস্কোতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস কমিটিতে বাংলাদেশের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেন তিনি। একই বছরের অক্টোবরে রাশিয়ার ওরেনবুর্গে অনুষ্ঠিত ইউরেশিয়া গ্লোবালেও অংশ নেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে তাঁকে টিম বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হয়।

২০১৯-২০ সালে টোস্টমাস্টার্স ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব পাবলিক স্পিকিং-এ বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্পিচ কনটেস্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন শিফা। পরে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে প্রতিযোগিতা করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম অ্যাডভান্সড টোস্টমাস্টার্স ক্লাবের নারী সভাপতি ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে দুটি ক্লাবের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারত ও নেপালে আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি এবং নেপালের লাক্সমী ব্যাংকে বক্তব্য রেখেছেন।

বর্তমানে শিফা রাশিয়ার ‘ডাইরেক্টোরেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল’-এর প্রতিনিধিত্বকারী ‘ন্যাশনাল প্রিপারেটরি কমিটি অব বাংলাদেশ’-এর শিশু কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২৭ সালের মধ্যে ‘ভিলেজ ইমপাওয়ারমেন্ট’ কর্মসূচির মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে যোগাযোগ, উপস্থাপনা ও বক্তৃতা দক্ষতায় পারদর্শী করে গড়ে তোলাই তাঁর লক্ষ্য।

এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর