ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট কারও অজানা নয়। পতিত আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ গর্ব করতো তাদের তৈরি এশিয়ার সবচেয়ে বড় গণরুম নিয়ে। যেখানে এক হলঘরে থাকতে হতো প্রায় ২০০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই ব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হলেও আবাসন ব্যবস্থার সংকট এখনো কাটেনি। এখনো প্রতিটি চারজনের রুমে থাকতে হচ্ছে আটজন করে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী, পুরুষ সব শিক্ষার্থীদের ভুগতে হচ্ছে একই সমস্যায়। তবে নারী শিক্ষার্থীদের তূলনামূলক ভোগান্তি বেশিই পোহাতে হচ্ছে।
ঢাবি প্রশাসন ইতোমধ্যে বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে হল সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের একটি বড় অংশ এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে হল সংস্কার ও নতুন হল বিনির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে আবাসন সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক শিক্ষার্থীর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নজড় কেড়েছে সবার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ও কবি জসিম উদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত।
নিজের জায়গা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে আগাচ্ছেন এই শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মেইলকে ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘এক বেড, এক মানুষ, এক টেবিল’ নামে একটি কার্যক্রম আমি শুরু করেছি। চাইলে ব্যানার নিয়ে দাঁড়াতে পারতাম, কিন্তু তা করিনি। আমি সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘এক বেড, এক মানুষ, এক টেবিল’ ধারণাটি ডুকিয়ে দিতে চাচ্ছি। এতে করে শিক্ষার্থীরা সবাই নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি শুধু ঘুমানোর জন্য না, মানুষের চিন্তামুক্তির একটা বিষয় এখানে আছে। আমি চাই সবাই নিজ জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশ্ন করুক, কেন আমাদের একজনের বেডে দুজন থাকতে হবে?’
ইয়াসিন আরাফাত প্রতি শনিবার ঢাবি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (ঢাবিশিস) ও নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘এক বেড, এক মানুষ, এক টেবিল’ শীর্ষক একটি পোস্টার পোস্ট করেন এবং শেয়ার দেন।
তার এই উদ্যাগে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান এবং তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। এছাড়া তিনি ওই লেখাটি প্রিন্ট করে তার নিজের হলের দেয়ালে সেঁটে দিয়েছেন।
এএইচ
