সিলেটের প্রকৃতি কন্যা সাদা পাথর থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং পর্যটন খাত ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘পাথরখেকোদের আস্তানা, এ বাংলায় হবে না, আমার সোনার বাংলায় পাথরখেকোর ঠাঁই নাই’, ‘বাঁশের লাঠি তৈরি করো, পাথরখেকো সাইজ করো’সহ নানা স্লোগান দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জালালাবাদ শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির সদস্য শাহিনুর রহমান বলেন, কিছু মানুষের পেট পাথর দিয়ে ভরছে। তারা রাতে পাথর লুট করে ক্ষান্ত হয়নি, এখন দিনের আলোয় জনসম্মুখে পাথর লুট করছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি, শুধু তাদের অজুহাত শুনেছি। জাফলং থেকে পাথর নিয়ে পুরো অঞ্চল বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সাদা পাথর এলাকায় বড় বড় গর্ত করে পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে এই পাথরখেকোরা।

তিন দফা দাবি উত্থাপন করে তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে, পরিবেশ রক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে পাথরখেকোদের সঙ্গে প্রশাসনের অনেকেই জড়িত। এই তিন দফা দ্রুত সরকারকে মেনে নিতে হবে, এ আল্টিমেটাম দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পাথর লুটে সম্পৃক্ত থাকায় বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
মানববন্ধনে সিলেটের স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল বাসেদ বলেন, যেখানে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ ঘুরতে যায়, সেখানে পাথরখেকোরা জায়গাটিকে মরুভূমিতে রূপান্তর করেছে। বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্বীকার করেছেন যে, তিনি উপদেষ্টার পদ পাওয়ার পরও তাদের থামাতে পারছেন না। এ সময় বাসেদ দ্রুত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়ে পর্যটন শিল্প বাঁচানোর আহ্বান জানান।
সিলেটিয়ান ঢাবি শিক্ষার্থী আশা তালুকদার বলেন, সিলেটের সাদা পাথর সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাংলাদেশের এসব পর্যটন কেন্দ্র দেশের প্রাণ, কিন্তু তা ধীরে ধীরে আমাদের চোখের সামনেই ধ্বংস হচ্ছে। সিলেটের সাদা পাথর এখন নামেই আছে, বাস্তবে নেই। যদি এভাবে সব ধ্বংস করা হয়, তাহলে আমাদের ঘোরাঘুরির জন্য ঐতিহাসিক কোনো স্থাপনাই আর থাকবে না।
এআর/এআর

