ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মতিউর রহমান নিজমীদের ছবি টাঙানো নিয়ে বিকেল থেকেই ছিল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।
এক পর্যায়ে বাম সংগঠনগুলোর দাবির মুখে ছাত্রশিবিরের সহায়তায় জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লা, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর কাসেম আলী, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর পরেও বাম সংগঠনগুলোকে টিএসসির পায়রা চত্বরে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এসময় অবস্থান কর্মসূচি থেকে ‘তুমিও জানো আমিও জানি, জামায়াত মানে পাকিস্তানি, ছাত্রশিবির মানে পাকিস্তানি, তুমিও জানো আমিও জানি; সাদিক কায়েম পাকিস্তানিসহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
একপর্যায়ে টিএসসি মিলনায়তন থেকে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও জড়ো হয়ে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে- ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; এই দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ; তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচারসহ একাধিক স্লোগান দেন তারা। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা যায়।
অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদ ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়। তারা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে তারা চলে যান। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়।
ছাত্র ফেডারশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মতিউর রহমান নিজামী এরা মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারের ভূমিকা পালন করে। আল বদর, আল শামসের মতো বাহিনীগুলো যারা আমার ভাইবোনদের হত্যা ও ধর্ষণ করেছে তাদের ছবি আজকে এখানে টাঙানো হয়েছে। জুলাইয়ের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তাদের ছবি টাঙানো কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এটা সম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী একটি কাজ।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এখানে বাম সংগঠনগুলো ছাত্রশিবিরকে উস্কে দিয়েছে। তাদের দাবির মুখে শিবিরের লোকেরা জামায়াত নেতাদের ছবি খুলে ফেললেও তারা বাহিরে এসে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে উস্কানি দিতে থাকে। একপর্যায়ে শিবির কর্মীরা বের হয়ে আসে।
এএইচ

