মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবির আইইআরে সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৭:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

Seminar
ইনস্টিটিউটের শহীদ ড. সাদাত আলী কনফারেন্স রুমে সেমিনার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এলিভেট টকের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান ও শিক্ষার গতিপথ: প্রত্যাশা অর্জন ও আগামী দিন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ইনস্টিটিউটের শহীদ ড. সাদাত আলী কনফারেন্স রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 


বিজ্ঞাপন


অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্যে দেন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম, ড. মো. আহসান হাবীব, ড. মো. শাহরিয়ার হায়দার, ড. সায়রা হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সম্পাদক মাহাদী হাসান।

সেমিনারে অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অনেকগুলো স্বপ্নের বীজ বপন করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম একটি ছিল শিক্ষার মানোন্নয়ন করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার সেই শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আশা রেখেছিলাম নতুন একটা শিক্ষানীতি প্রণয়ন হবে, কিন্তু তারা সেখানে এখন পর্যন্ত হাত দেয়নি।’

শিক্ষার বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, সর্বশেষ যে বাজেট হয়েছিলো সেখানে শিক্ষার বাজেট বৃদ্ধি করা হয়নি। এতো স্বল্প বাজেট দিয়ে শিক্ষার মান কখনো বৃদ্ধি করা সম্ভব না। এমনকি শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়ে অনেকদিন থেকে আমরা ফাইট করছি। শিক্ষকদের পরিপূর্ণ মর্যাদা ছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে অধ্যাপক ড. মো: আহসান হাবীব বলেন, ‘শিক্ষককে আমরা কিভাবে দেখবো? আমরা দেখেছি কোভিডের পরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে সঠিক আচরণ করছে না। কিভাবে কথা বলতে হয় বা কি আচার-আচরণ করতে হয় তা তারা ভুলে গেছে। আমরা হয়তো জেনারেশন গ্যাপে আছি বা হয়তো তারা অনেক অ্যাডভান্স হয়ে গেছে। তবে চব্বিশের অভ্যুত্থানে আমরা তাদের এক হয়ে লড়াই করতে দেখেছি।


বিজ্ঞাপন



তিনি বলেন, ‘আমাদের কারিকুলামে ও বই লেখায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের সুযোগ থাকতে হবে, তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা কি চায়, কেনো চায় তা তাদের তুলে ধরার সুযোগ করে দিতে হবে। কোনো ধরণের পলিটিক্যাল বাঁধা ছাড়া সকল জায়গায় স্টুডেন্ট বয়েস রেইজ করার সুযোগ করে দিতে হবে।’

ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো: শাহরিয়ার হায়দার বলেন, ‘শিক্ষার্থী এবং আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধন তৈরি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরীক্ষার রেজাল্টের সময় সি প্লাস বা বি গ্রেড পেলে সে আমাকে অন্য চোখে দেখছে। শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা জানতে চাই না তারা আসলে কি চায়? এজন্য আমাদের এজন্য ক্লাইমেট সার্ভে করা দরকার। তাহলে আমরা তাদের চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে জানতে পারবো। এমনকি শিক্ষার্থীরা এখনো জানে না কিভাবে অন্য লিঙ্গের বন্ধুদের সাথে আচরণ করতে হবে। এ বিষয়ে মাইক্রো কোর্স চালু করা দরকার।’

শিক্ষার্থীদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়রা হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা কখনো লিডারশিপের জায়গায় তেমনভাবে পৌঁছাতে পারিনি। এখন ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইইআর ছাত্রছাত্রীদের এবং ইন্ড্রাস্টির মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারে। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করতে পারে যেখানে তারা (ইন্ড্রাস্টিয়াল লোকজন) এসে শিক্ষার্থীদের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কাজের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেবে।

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান বলেন, ‘কোয়ালিটি এডুকেশনের (মানসম্মত শিক্ষা) জন্য শিক্ষার্থীদের প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করতে হবে, কারণ শিক্ষকরা তো তাদেরকেই পড়াবে। আমরা দেখেছি পলিটিক্স এবং এডুকেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য পলিটিক্স করা হয় না। এবার যারা ডাকসু নির্বাচন করতে চায় তাদেরকে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদেরকে নিজেদের চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে বলা।

এসএইচ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর