শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

২৮০০ কোটি টাকা দিয়ে যেসব উন্নয়ন কাজ করতে চায় ঢাবি প্রশাসন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

২৮০০ কোটি টাকা দিয়ে যেসব উন্নয়ন কাজ করতে চায় ঢাবি প্রশাসন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পাওয়া ২৮৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা নিয়ে নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনাগুলো জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।


বিজ্ঞাপন


প্রকল্পের খসড়ায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প (ফেজ-১)’ এর প্রধান প্রধান কার্যক্রম, মেয়াদ ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। 

প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়ে ৩০ সালের জুন মাসে প্রকল্পটি শেষ হবে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ঢাবির অ্যাকাডেমিক ও আবাসিক সুবিধাদি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন।

প্রকল্পটির জন্য ১১টি প্রধান লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- একাডেমিক ভবন নির্মাণ ৬টি; ছাত্রীদের জন্য ৪টি হল ও ছাত্রদের জন্য ৫টি; হাউজ টিউটরদের জন্য ৯টি; সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন ৪টি; শিক্ষক ও অফিসারদের জন্য আবাসিক ভবন ২টি; অন্যান্য ভবন ৫টি; সার্ভিস লাইন সংস্কার; খেলার মাঠ ১টি; পাবলিক টয়লেট ২টি ও ড্রেনেজ সিস্টেম ও ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নির্মাণ করা।

প্রকল্পে দেখা যায় মোট ব্যয়ের সবচেয়ে বড় অংশ অর্থাৎ, ৩৪.৩৬% ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হল নির্মাণে ব্যয় করা হবে। এরপরেই কেন্দ্রীয় মসজিদ, মেডিক্যাল সেন্টার, ডাকসু ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও জিমনেসিয়াম ভবন নির্মাণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থাৎ ১৭% এবং একাডেমিক ভবন নির্মাণে ১৬% ব্যয় করা হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই জাতির উপহার। এই প্রকল্প জাতির প্রতি আমাদের দায়। এটি মূলত একটি অ্যাকাডেমিক কাঠামো বিল্ডআপ করা। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য শিক্ষাখাতের উন্নয়ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য এই প্রকল্পে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  আমরা এ কাজে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।’


বিজ্ঞাপন


সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের ডিজাইন করার সময় সবুজায়ন ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি মাথায় নিয়ে করা হয়েছে। আমরা সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য সর্বোচ্চ কাজ করেছি এবং বর্তমান গ্রিন স্পেস (সবুজ জায়গা) কোনো অবস্থাতেই কমবে না বরং আরও সুন্দর হবে।’

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা প্রকল্পটি সম্পর্কে বলেন, ‘এই প্রকল্প আমাদের জন্য অনেক জরুরি ছিল। এরপরেও মানসম্মত গবেষণার জন্য আমাদের অনেক কাজ করার দরকার হবে। আমরা অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় গবেষণায় উৎকর্ষতা সাধন করার জন্য কাজ করব। এসময় তিনি প্রকল্পে সকল ধরনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান।’

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘টার্কির (তুর্কি) সঙ্গে এক হয়ে অটোমান সম্রাজ্যের অনুকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ নতুন করে নির্মাণ করা হবে। বাহিরের দেশগুলোতে যেমন সুযোগ-সুবিধা থাকে, তেমন ডাকসু নির্মাণ করা হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। ছাত্রছাত্রীরা নতুন ডাকসুতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে।

এসময় ডাকসু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে- তফশিল ঘোষণার পর দেখা যায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি হয়। এটি নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘এটি একটি বড় আয়োজন। এই আয়োজনে কিছু আশঙ্কা থাকে কিছু বাধা বিপত্তি থাকে। এই আয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবার সহযোগিতার দরকার আছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে এই আয়োজনটি করা সম্ভব না, তারপরেও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

বিইউ/ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর