শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা কলেজ: ১৮ জুলাই সায়েন্সল্যাব এলাকার ভয়াবহতার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা কলেজ: ১৮ জুলাই সায়েন্সল্যাব এলাকার ভয়াবহতার গল্প

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই। বিক্ষোভে উত্তাল সারাদেশ। সারাদেশের মতো ঢাকা জুড়ে হয় বিক্ষোভ মিছিল। তখন বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব-গ্রিনরোডেও বিক্ষোভে বের হন একদল ছাত্র-জনতা। সঙ্গে ছিলেন কিছু সাহসী তরুণ, যারা সম্মুখসারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আন্দোলনকারীদের সাহস জুগিয়েছেন।

গ্রিনরোডে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর কিছুক্ষণ পরই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের দিকে পুলিশ টিয়ারশেল আর রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। একদল অবস্থান নেয় সাইন্সল্যাব মোড়ে, আরেকদল অবস্থান নেয় আইডিয়াল কলেজের সামনে। এসময় আহত হন বেশ কয়েকজন। দেখা দেয় মানবিক সংকট, আন্দোলনকারীরা পানির পিপাসায় তৃষ্ণার্ত। আন্দোলনকারীদের কাছে পানি নিয়ে ছুটে আসেন ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী। বলতে থাকেন, ‘পানি লাগবে পানি’। পানি পেয়ে আন্দোলনকারীরা হয়ে উঠেন প্রফুল্ল এবং টিয়ারশেল আর বন্দুকের নলের মুখেও ভরসা পান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা কলেজের ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আল আমিন শান্ত। সেশন ২০২০-২১, বর্তমানে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। যুক্ত আছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে। দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা কলেজ শাখার ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে।

জানতে চাইলে আল আমিন শান্ত ঢাকা মেইলকে বলেন, সময়টা খুবই ভয়াবহ এবং বিভীষিকাময় ছিল। মনে হচ্ছিল এখন পুলিশের রাবার বুলেট এসে গায় পড়বে। আন্দোলনকারীদের মধ্যেও ভয়। তবুও কিছু মানুষ পুলিশকে নীলক্ষেতের দিকে ধাওয়া দেয়। পুলিশ অবস্থান নেয় নীলক্ষেত মোড়ে এবং আবার আন্দোলনকারীদের পুলিশ ধাওয়া দেয় সায়েন্সল্যাবের দিকে। এভাবে বেশ কয়েক ঘণ্টা চলতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, টিয়ারশেলের ধোঁয়া আর গুলির শব্দে আন্দোলনকারীদের অনেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল এবং পানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আমি তখন সবাইকে পানি দিয়েছি।

আল আমিন শান্ত বলেন, ওইদিন পুলিশ আন্দোলনকারীদের অনেক গুলি করেছে। এরমধ্যে কয়েকজনের হাতে পায়ে লেগেছে। আমিসহ কয়েকজন মিলে গুলিবিদ্ধ একজনকে ধরে পপুলার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি, সেখানে তার চিকিৎসা চলমান রেখে আবার আমরা আন্দোলনে এসে যোগ দিয়েছি।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, ১৮ জুলাই পুলিশ ইচ্ছামতো টিয়ারশেল, গুলি ছুঁড়েছে। যাতে আন্দোলনকারীরা চলে যান। তারপরও আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছি এবং আমরা কয়েকজন সাহসের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়েছি।

এসএইচ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর