দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা এখন থেকে প্রতিবছর বিশেষ সুবিধার অর্থ পাবেন। তাদের প্রণোদনার হার বাড়িয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে প্রতি বছর গ্রেড-৯ম থেকে ওপরের গ্রেডের শিক্ষকরা ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ১০% হারে এবং গ্রেড-১০ থেকে নিম্ন গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ প্রাপ্য মূল বেতনের ১৫% হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। ১ জুলাই থেকে এই আদেশ কার্যকর করা হবে।
সোমবার (২৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয় এই সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি মাদরাসা ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাতীয় বেতনস্কেল-এর তুলনীয় গ্রেড-৯ থেকে তদূর্ধ্ব গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আগামী ১ জুলাই থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ১০% হারে এবং গ্রেড-১০ থেকে তদনিম্ন গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ আগামী ১ জুলাই তারিখ থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ১৫% হারে, তবে ১,৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) টাকার কম নয়, ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্ত হবেন।
এর আগে সরকারি চাকরিজীবীদের প্রণোদনা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে সেই সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এই সুবিধা পাবেন কিনা তা নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়।
পরে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরাও ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের জুলাই থেকে মূল বেতনের ৫ শতাংশ প্রণোদনা পেয়ে আসছেন। ওই বছর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত আলাদা চিঠিও জারি করা হয়েছিল।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে প্রতিবছর ১ জুলাইয়ে প্রাপ্য বেতনের ৫ শতাংশ হারে, তবে ১ হাজার টাকার কম নয়, ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্ত হবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠি তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
বিইউ/এফএ

