অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসসি) বিভাগের ৩০ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বহিষ্কার আদেশের কপি পেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. জুলফিকার রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক আদেশে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, সিএসই বিভাগের ১৭ জনকে স্থায়ী এবং ১৩ জনকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কার হওয়া সবাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেও জানান তারা।
তাকি তাহমিদ নামে একজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশে বলা হয়, গত ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অপ্রীতিকর ঘটনায় আপনার জড়িত থাকার বিষয়ে আপনাকে যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, সেটির বিষয়ে গত ১ জুন শৃঙ্খলা কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শৃঙ্খলা কমিটি ঘটনা সম্পর্কিত সমস্ত উপলব্ধ প্রমাণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করার পরে আপনার ব্যাখ্যা অসন্তোষজনক এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছে।
আরও বলা হয়, ইউআইইউ শৃঙ্খলা বিধি অনুসারে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল সেমিস্টার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এই চিঠি পাওয়ার পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আপনি ইমেলের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করতে পারেন।
বহিষ্কার হওয়া ফাইয়াজ নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা এ আদেশ মানি না। অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় আমাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। তবে দ্রুত বেসরকারি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ইউনাইটেড গ্রুপের অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. জুলফিকার রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ১৮ মে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খোলা চিঠি দেয় ইউআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। সেখানে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল রাতে উপাচার্য ও শিক্ষকদের অফিস রুমে আটকে রাখার আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী দায়ী প্রমাণিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ইউআইইউ শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও বলা হয়, তাদেরকে বহিষ্কারও করা হতে পারে। তবে যেসব শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
এএসএল/এএইচ

