ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে অফার লেটার বাতিল করা মুহাম্মদ উবায়দুল হক (জাবের উবায়েদ) ফের চাকরি পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্টন কলেজে। তিনি মার্টন কলেজে একাডেমিক অফিসার হিসেবে চাকরি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে দেয়া এক পোস্টে জাবের উবায়েদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্টন কলেজে একাডেমিক অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এটি আমার আগের পদের চেয়ে একটি নতুন এবং স্বতন্ত্র ভূমিকা পালন করবে এবং এটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার তৃতীয় পদ।’
জাবের উবায়েদ বলেন, ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের প্রস্তাব প্রত্যাহার করার পর, আমি আল্লাহর উপর ভরসা রেখে নতুন সুযোগের জন্য আবেদন চালিয়ে যাই। গত ১৯ মে আমি এই পদের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলাম, ২০ মে লিখিত পরীক্ষার জন্য এবং ২৬ মে সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সাক্ষাৎকারের সময়, আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে, সবকিছু ঠিকঠাক হবে এবং গতকাল আমি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেয়েছি। এই সময়ে যারা আমাকে তাদের দোয়ায় স্মরণ করেছেন এবং সহায়তা দিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে, তারা যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেনি বা কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখেও। পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে, তারা এমন একজন ছাত্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং অপমান করেছে, যে সাহসের সাথে তাদের অপেশাদার আচরণ এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিস্তৃত সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলেছিল। তাদের দ্বৈত নীতি এখন স্থানীয় এবং বিশ্বব্যাপী উভয় ক্ষেত্রেই উন্মোচিত হয়েছে, যা সম্ভাব্য কর্মীদের সাথে তাদের আচরণের বৈষম্যমূলক ধরণ প্রকাশ করে এবং ব্যক্তিদের সামাজিক, আদর্শিক বা রাজনৈতিক পটভূমির উপর ভিত্তি করে বৈষম্য বজায় রাখে।
জাবের উবায়েদ বলেন, ‘দেশ প্রেমের কারণেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম। কিন্তু ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অফার লেটার পাঠানোর পর, তা বাতিল করে দেয়। কিন্তু বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’
বিজ্ঞাপন
এসএইচ/এএস

