জাল সনদপত্র ও ভুয়া সুপারিশ দেখিয়ে মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর। এমনকি, ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও (মাসিক বেতন-ভাতা) সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে। একই সঙ্গে দুদকে (দুর্নীতি দমন কমিশন) মামলা দায়েরের সুপারিশও করা হবে।
সম্প্রতি অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এইচ. এম. নূরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) কর্তৃক প্রদত্ত সুপারিশ বা সনদ জাল করে অনেক মাদরাসা প্রধান বারবার একই আবেদন পাঠিয়ে যাচ্ছেন। এসব আবেদন যাচাই করতে গিয়ে এমপিও অনুমোদনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সরাসরি সতর্ক করে চিঠিতে বলা হয়, কোনো মাদরাসা যদি জালিয়াতির মাধ্যমে এনটিআরসিএ সনদ বা সুপারিশ সংযুক্ত করে এমপিও আবেদন করে এবং সেটি বাতিল করার পরও আবার একই আবেদন পাঠায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা প্রধানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে এমপিও স্থগিত করা হবে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এছাড়া, নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে যদি কেবল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে নিয়োগ দেওয়া হয় বা কোনো ভুয়া ডিজি (মহাপরিচালক) প্রতিনিধি সেজে আদেশ দেখিয়ে এমপিও আবেদন করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড স্থায়ী বা সাময়িকভাবে বাতিল করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
চিঠিতে এসব অনিয়ম প্রতিরোধে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে, মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অধিদফতর মনে করে, এসব কৃত্রিম আবেদন শুধু মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করছে না, বরং সরকার নির্ধারিত বাজেট ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই ভবিষ্যতে জাল সনদ বা ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে এমপিওভুক্তির চেষ্টা করা হলে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এএসএল/এইউ

