শুধু বোনাস বৃদ্ধিই নয়, পূর্ণাঙ্গ অধিকার ও মর্যাদা চান এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তারা জানিয়েছেন—সরকারি কর্মচারীদের মতো শতভাগ উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়া এবং সময়মতো বেতন পাওয়ার নিশ্চয়তা না পেলে আন্দোলন থেকে সরে আসার সুযোগ নেই।
রোববার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবি তুলে ধরেন শিক্ষক নেতারা। সকাল ১১টার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ঘেরাওয়ের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দুপুরে অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে তারা আবার প্রেস ক্লাবের সামনে ফিরে আসেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘আমরা ৫০ শতাংশ নয়, শতভাগ বোনাস চাই। শুধু শিক্ষকদের নয়, সকল কর্মচারীর ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য হতে হবে। আমাদের দাবি মূলত সাম্য ও ন্যায্যতার। আমরা যে কাজ করি, সেই অনুযায়ী সম্মান ও সুবিধা পাওয়াটা আমাদের অধিকার।’
তিনি আরও জানান, এপ্রিল মাসের বেতন ছাড় হয়েছে এবং আগামীকালের মধ্যে সব শিক্ষক-কর্মচারীরা তা পেয়ে যাবেন। তবে শুধু বেতনের অগ্রগতি নয়, কাঠামোগত পরিবর্তন ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের কথাও গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারি চাকরিজীবীদের মতো মাসের শুরুতেই বেতন পাওয়ার দাবিও তুলেছেন শিক্ষক নেতারা। তারা বলেন, মাসের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও এমপিওভুক্তদের বেতন-পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে না। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তারা।
শেখ কাওছার আহমেদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘শিক্ষা জাতীয়করণ ছাড়া আমরা কোনো প্রস্তাবে রাজি হবো না। আমাদের দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি চললে আমরা দেশজুড়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।’
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, শিক্ষার জাতীয়করণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দাবিতে ১৭ মে থেকে দ্বিতীয় দফায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলছেন, তারা দেশের অধিকাংশ শিক্ষার দায়িত্ব পালন করলেও পাচ্ছেন না সমান মর্যাদা। তাই এক দফা এক দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে—‘শিক্ষা জাতীয়করণই এখন একমাত্র লক্ষ্য।’
এএসএল/এইউ

