‘নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়)’ শীর্ষক চলমান প্রকল্পের অধীনে নিয়োজিত শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীন কর্মরত কর্মচারীদের কল্যাণ পরিষদ স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
শনিবার (১৭ মে) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রদান করা এ স্মারকলিপিতে জানানো হয়, ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের ৭ম পর্যায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শেষ হলেও নতুন ৮ম পর্যায় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন পায়নি। তবে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সরকারি অর্থায়নে পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শিক্ষা কার্যক্রমও চালু রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ আগস্ট ২০২৪ এ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের আশ্বাস দিলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রায় ৮৪ হাজার জনবল, যাদের মধ্যে শিক্ষক, কেয়ারটেকার, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন, তারা চরম অনিশ্চয়তা ও মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রকল্প অনুমোদনের দিন থেকে বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। জানুয়ারি ২০২৫ থেকে নয়। এতে সংশ্লিষ্ট জনবলের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গত ঈদুল ফিতরের সময়ও তারা কোনো সম্মানী পাননি বলে জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে ৫ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো- ১ জানুয়ারি থেকে প্রকল্প অনুমোদন ও ঈদুল আজহার পূর্বেই সকলের বেতন-ভাতা পরিশোধ। ৩য় থেকে ৭ম পর্যায়ে কর্মরত জনবলকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তি। পূর্ববর্তী পর্যায়ের জনবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮ম পর্যায়ে স্থানান্তর। কেয়ারটেকার ও কর্মীদের স্কেলভুক্তকরণ ও শিক্ষকদের সম্মানী-ভাতা বৃদ্ধি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা’র পূর্বে বেতন-ভাতা প্রদান না হলে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে, যা সরকারের ভাবমর্যাদাকেও ক্ষুণ্ন করতে পারে। তাই তারা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাতে প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন এবং জনবলকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করে ঈদের আগেই সব বকেয়া পরিশোধ করা যায়।
বিজ্ঞাপন
/এএস

