শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ০৭:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

S
জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ। ছবি- ঢাকা মেইল

তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন।  

বুধবার (১৪ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে এসেছেন তারা।


বিজ্ঞাপন


এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চে লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। 

এর প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোডের সামনে বৃষ্টিতে ভিজেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। 

S2

এদিকে বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আরও  কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন। এরপর তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা হস। প্রথমে তারা গুলিস্তান মাজার গেইটে বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মৎস ভবনে ফের পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে এলেই টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

আহত শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব।

অন্যদিকে রমনা জোনের ডিসি মাসুদ বলেন, ‘যমুনার সামনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

J

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.তাজাম্মুল হক বলেন, ‘আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমার সহকারী প্রক্টরের উপির পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচারণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাওয়া হবে না।’

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল তিনটি দাবি নিয়ে ইউজিসিতে যান। কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। 

ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

এসএইচ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর